HighlightNewsদেশ

দেশে প্রথমবার এক মহিলার ফাঁসির প্রস্তুতি শুরু; ফাঁসিকাঠের পরীক্ষা করছেন পবন জহ্লাদ

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার ভারতে কোন মহিলার ফাঁসির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো উত্তরপ্রদেশের একমাত্র ফাঁসি ঘর মথুরা জেলে এই ফাঁসির সাজা কার্যকর করা হবে। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীদের ফাঁসিতে ঝোলানো পবন জল্লাদ দু’বার ফাঁসি কাঠের পরীক্ষা করেছেন। উত্তরপ্রদেশের আমরোহার বাসিন্দা শবনমকে প্রেমিক সেলিমের সহযোগিতায় নিজের বাবা-মা ও ১০ মাসের ভাইপো সহ পরিবারের সাতজনকে নির্মমভাবে কুঠার দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে হত্যা করার অপরাধে এই ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। অপরাধীর ভয়াবহতা ও নৃশংসতাবিচার করে সুপ্রিম কোর্টে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে শবনমের সাজা মুকুবের আবেদন খারিজ হয়েছে। তাই শবনমের ফাঁসি এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। ডেথ ওয়ারান্ট জারি হলে ফাঁসি দেয়া হবে শবনামকে।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোন মহিলার ফাঁসির সাজা বলবৎ করা হচ্ছে। মথুরা জেলে মহিলাদের ফাঁসি ঘরে ফাঁসি দেওয়া হবে শবনমকে। ব্রিটিশ আমলে তৈরি প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো ওইপাশে ঘর এখনো পর্যন্ত অব্যবহৃত। তাই ফাঁসিকাঠও বহু পুরনো। তাই সবদিক খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে দু’বার পরীক্ষা করা হয়ে গেছে ফাঁসিকাঠের। ফাঁসির দড়ি নিয়ে আসা হচ্ছে বিহারের বক্সার থেকে।

উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার হাসানপুরের বাসিন্দা শবনম বাবনেখেড়ি গ্রামের এক শিক্ষকের একমাত্র মেয়ে। এক অবস্থাপন্ন সুফি পরিবারের মেয়ে শবনম ইংরেজি এবং ভূগোলে এমএ পাস করেছিলেন। কিন্তু সমস্যা তখন শুরু হয় যখন তিনি সেলিম নামে এক দিনমজুরের প্রেমে পড়ে যান। সেলিম ক্লাস ফাইভ ফেল। স্বভাবতই তাদের এই সম্পর্ক শবনমের বাড়ির লোক মেনে নিতে চায়নি। আর বাড়ির লোকের সেই অপরাধের শাস্তি হিসেবে ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল রাতে প্রেমিক সেলিমের সঙ্গে বাবা, মা ও দশ মাসের ভাইপোসমেত পরিবারের সাতজনকে নির্মমভাবে কুঠার দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে ফোন করেছিল শবনম।

Related Articles

Back to top button
error: