রাজ্য

ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, কলকাতা: ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ নিয়ম মেনে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নিজের ইস্তফাপত্র তুলে দেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। দলের সিদ্ধান্ত মেনে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেই জানান তিনি। তৃণমূল সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভবানীপুর বিধানসভা আসনে উপ-নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ২১৩ আসনে জয়লাভ করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপিকে হারিয়ে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে হেরে গেলেও তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়ম অনুযায়ী, এক্ষেত্রে ছয় মাসের মধ্যে বিধানসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন বিধানসভা থেকে উপনির্বাচনে লড়বেন তা একরকম স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

প্রসঙ্গত, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে হারিয়ে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। জয়লাভের পর মন্ত্রিসভার সদস্যও হন তিনি। রাজ্যের খুশি মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। অন্যদিকে, এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের পর নন্দীগ্রামের জনসভায় গিয়ে ভূমি আন্দোলনের ওই আঁতুড়ঘর থেকেই লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধিকারীদের গড় বলে পরিচিত নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী বনাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই লড়াইয়ে যদিও শেষ পর্যন্ত জয়ী হন শুভেন্দু অধিকারীই। তবে রাজ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভের পর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই উপ-নির্বাচনে কোন আসনে তিনি লড়বেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।

Related Articles

Back to top button
error: