HighlightNewsরাজ্য

Swasthya Sathi Card: বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে কড়া নির্দেশ রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের

 

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : স্বাস্থ্য কমিশনের কাছে বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নেওয়ার বা টেকনিক্যাল ইস্যু দেখিয়ে বাতিল করার অভিযোগ উঠেছে। আবার কারো অভিযোগ ভর্তির পরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে আশায়, সেটি নিতে অস্বীকার করেছে হাসপাতাল। এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে কড়া অবস্থান নিল স্বাস্থ্য কমিশন। রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের কড়া নির্দেশ বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে অবশ্যই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে হবে। কমিশনের পর্যবেক্ষণ, ভর্তির সময় হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে চায়নি বলে বহু ক্ষেত্রেই রোগীর পরিজনেরা অভিযোগ করছেন। আবার হাসপাতালগুলির দাবি, তারা জানত না রোগীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে। এই বিষয়ে কমিশন জানিয়েছে, সঙ্কটজনক রোগী ভর্তির সময় কার্ডটি জমা নাই করতে পারেন। কিন্তু যে মুহূর্তে তিনি সেটি জমা দেবেন, তখনই সেটি গ্রহণ করতে হবে।

কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বৈঠকে তাঁরা জানতে পারেন শহরের তিন-চারটি বেসরকারি হাসপাতালে সে রকম ভাবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু হয়নি। ওই সমস্ত হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলেছে কমিশন। হাসপাতালগুলিও দ্রুত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। পাশাপাশি তিনি এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে কোনও সমস্যা হলে, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে স্বাস্থ্য দফতর কিংবা স্বাস্থ্য কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কিন্তু কোনও ভাবেই রোগীকে ফেরানো চলবে না। এমনকি, ভর্তির পরেও যদি কোনও রোগীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে আসেন, সেটি নিতে হবে হাসপাতালকে।

স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, প্রসব ও ছানি অস্ত্রোপচার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় নেই। তবে অন্যান্য স্ত্রী রোগ কিংবা চোখের সমস্যার চিকিৎসাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া অনেক সময় আঙুলের ছাপ মেলে না, কিন্তু সে ক্ষেত্রে পরিষেবা বন্ধ না রেখে বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতর কিংবা কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে অন্য ভাবে কার্ডের বৈধতা খতিয়ে দেখতে হবে।
পরিশেষে কমিশন জানিয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগী প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে গত দেড় মাসে ১০টি অভিযোগ পেয়েছে কমিশন। তার মধ্যে সাতটিকে বেছে নিয়ে আগামী ৩ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছে কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কে কত ভাল পরিষেবা দিতে পারেন, তা নিয়ে সুস্থ প্রতিযোগিতা চলতেই পারে। আসল লক্ষ্য হল এই প্রকল্পে মানুষ যাতে ভাল ভাবে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে পারেন।’’

Related Articles

Back to top button
error: