HighlightNewsদেশ

“ভগবদ গীতা সবকিছুর ঊর্ধ্বে, বাইবেলের সঙ্গে একে গুলিয়ে ফেলবেন না”,বিস্ফোরক মন্তব্য কর্নাটকের মন্ত্রীর

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ বুধবার রাজ্যে চলমান বাইবেল বিতর্ক এবং স্কুল পাঠ্যক্রমে ভগবদ গীতা অন্তর্ভুক্ত করারBible, রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, ভগবদ গীতা সবকিছুর ঊর্ধ্বে। বাইবেলের সঙ্গে একে মিশ্রিত করবেন না। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই বেঙ্গালুরু ক্লারেন্স হাই স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য বাইবেলের শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। এরপরই এই বিষয় নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সেই বিতর্ক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ।
তিনি বলেন,”ভগবত গীতা এবং বাইবেলকে মিশ্রিত করবেন না। ভগবত গীতা কোন ধর্মীয় বই নয়। এটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কথা বলে না। এটি কিভাবে প্রার্থনা করতে হয় তা বলে না। মূলত এটি সবার উপরে। আমরা নৈতিক বিজ্ঞানের মধ্যে এমন কিছু অন্তর্ভুক্ত করতে প্রস্তুত যা শিক্ষার্থীদের মনোবল উন্নত করবে।”
উল্লেখ্য, ব্যাঙ্গালোরের ক্লারেন্স হাইস্কুলে বাইবেল শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার পর কর্ণাটক সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই একটি শোকজ নোটিশ জারি করা হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ ইতিমধ্যেই ওই স্কুলে একটি নোটিশ জারি করেছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ এপ্রসঙ্গে বলেন, ওই স্কুলটি শোকজ নোটিশের জবাব দেওয়ার পর সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।


কর্নাটকের কনভেন্ট স্কুলগুলিতে বাইবেল বাধ্যতামূলক করা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় চলতি মাসের ২৫ তারিখ থেকে। হাই স্কুলের তরফ থেকে ছাত্রদের অভিভাবকদের একটি অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। ওই অঙ্গীকার পত্রে বলা হয় যে, অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে বাইবেল নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আপত্তি করবেন না।
এই ঘটনার পর হিন্দু জনজাগ্রুতি সমিতির রাজ্য মুখপাত্র মোহন গৌরা দাবি করেন যে ওই স্কুলটি অ-খ্রিস্টান শিক্ষার্থীদের বাইবেল পড়তে বাধ্য করছে। এরপর ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস সোমবার বেঙ্গালুরু জেলা কমিশনারকে চিঠি লিখে ক্লারেন্স হাই স্কুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে বলে। এনসিপিসিআর এই পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে আদেশ জারি করে যে স্কুলে বাইবেল শেখানো বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত ভারতীয় সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস-এর তরফ থেকে আরও বলা হয় যে, ৭ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। অন্যদিকে, ক্লারেন্স হাইস্কুলকে ৭ দিনের মধ্যে কর্ণাটক সরকারের জারি করা শোকজ নোটিশের জবাব দিতেও বলা হয়েছে।

Related Articles

Back to top button
error: