HighlightNewsদেশ

সাংবাদিক রানা আইয়ুবের বিদেশে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল দিল্লি হাইকোর্ট

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনে গত সপ্তাহে সাংবাদিক রানা আইয়ুবকে বিমানে লন্ডন যেতে বাধা দেওয়া হয়। সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট শর্তধীনভাবে রানা আইয়ুবের বিদেশযাত্রার ওপর সেই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করল। কেন্দ্র সরকারের একজন বিশিষ্ট সমালোচক হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক রানা আইয়ুবের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনে ওই মামলার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
ইডির এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রানা আইয়ুব। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইডির তরফ থেকে পাল্টা আদালতে বলা হয়, রানা আইয়ুবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ “গুরুতর” তাই, তাঁকে বিদেশ যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।
রানা আইয়ুবের পক্ষে নিযুক্ত বরিষ্ঠ আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার আদালতে জানান, রানা আইয়ুবের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সমস্ত অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ১ ফেব্রুয়ারির পর ইডির তরফ থেকে কোনও সমন পাঠানো হয়নি এবং কোনও রকমের বার্তা বিনিময়ও হয়নি। তিনি আরো বলেন,”ইডির এই পদক্ষেপ একটি প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয় কারণ আমার মক্কেল সরকারের সমালোচক।”
ইডির তরফ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, করোনা ত্রাণের অনুদান সংগ্রহ করার সময় রানা আইয়ুব বিদেশি তহবিল বিধি লঙ্ঘন করেছেন এবং সেই সংক্রান্ত তদন্ত করছে সংস্থা। ইডির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাংবাদিক রানা আইয়ুব। এ সম্পর্কে একটি টুইট করে তিনি বলেছেন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সমন “খুব সন্দেহজনকভাবে” মুম্বই বিমানবন্দরে তাঁকে আটকে দেওয়ার পরে তাঁর ইনবক্সে পৌঁছয়।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর জার্নালিস্টের তরফ থেকে সাংবাদিক রানা আইয়ুবকে নারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অনলাইন সহিংসতা নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাজ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, রানা আইয়ুব প্রায়শই টুইট করে জানিয়ে থাকেন যে কিভাবে তাঁকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচকদের উগ্র মন্তব্যের জেরে হয়রানির শিকার হতে হয়। কখনো কখনো মৃত্যুর হুমকিও পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
রানা আইয়ুবের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলাটি গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ পুলিশের দায়ের করা একটি এফআইআর-এর ভিত্তিতে শুরু হয়। এই মামলায় ইডির তরফ থেকে দায়ের করা নথি অনুসারে, সাংবাদিক রানা আইয়ুব ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে পরোপকারের উদ্দেশ্যে “কেট্টো” নামক একটি অনলাইন ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ২.৬৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন। রানা আইয়ুবের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে,”কেট্টোর মাধ্যমে প্রাপ্ত অনুদানের হিসেব করা হয়েছে এবং একটি পয়সাও অপব্যবহার করা হয়নি।”যদিও ইডির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, যে তাদের তদন্তে এই বিষয়টি যথেষ্ট পরিমাণে স্পষ্ট হয়েছে যে পরোপকারের নামে সংগৃহীত তহবিল সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত এবং নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংগৃহীত হয়েছিল ও তহবিলটি যে উদ্দেশ্যে সংগৃহীত হয়েছিল তা সম্পূর্ণরূপে ব্যবহৃত হয়নি।

Related Articles

Back to top button
error: