HighlightNewsরাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে পিসি-ভাইপোর মধ্যে লড়াই শুধু সময়ের অপেক্ষা!: সুকান্ত

টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ রবিবার উপনির্বাচনের প্রচারে গোসাবার বেলতলিতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি অভিষেককে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘যতটা না পিসিকে দিল্লি পাঠানোর ইচ্ছে, তার থেকে বেশি নিজের এই রাজ্যের ক্ষমতায় বসার ইচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে পিসি-ভাইপোর মধ্যে লড়াই শুধু সময়ের অপেক্ষা!” এ বার শাসক দলের শীর্ষ স্তরে ‘ক্ষমতার লড়াই’ শুরু হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিজেপির নব্য রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বার বার দাবি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতার নেতৃত্বেই দেশ থেকে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করা হবে। গোসাবায় শনিবারে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার-সভায় গিয়েও অভিষেক বলে ছিলেন, ‘‘কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী আওয়াজ উঠেছে, দেশ কা নেত্রী ক্যায়সি হো, মমতাদিদি য্যায়সি হো।’’ তিনি আরও বলেন, “মমতার নেতৃত্বে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতেও তাদের হারিয়ে সরকার গড়বে তৃণমূল।” অভিষেকের ওই মন্তব্যের জবাবেই এ দিন ‘ক্ষমতার লড়াইয়ের’ প্রসঙ্গ এনেছেন সুকান্ত। সুকান্তের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লির মসনদে পাঠিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে রাজ্যের গদিতে বসার স্বপ্ন দেখছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র তথা সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “আমরা যা বলি, তা রাজ্য ও দেশের স্বার্থে বলি। ওঁদের মতো ব্যক্তিস্বার্থ, চেয়ারের স্বার্থে বলি না। আগে ওঁরা নিজেদের লড়াই মেটান! শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের লড়াই, আদি বিজেপির সঙ্গে তৎকাল বিজেপির লড়াই মেটান। তার পরে বড় বড় কথা বলবেন।’’ বিজেপির দিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে কুনাল ঘোষ আর বলেন, ‘‘উনি আর দিলীপ ঘোষ যাওয়ার আগে দাঁইহাটে বিজেপি কর্মীরা যে মারামারি করলেন, তা তো সকলেই দেখেছেন। রাজনৈতিক বোধবুদ্ধিতে সুকান্ত যে দিলীপ ঘোষেরই যথাযোগ্য উত্তরসূরি, তা ওঁর কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে।” গোসাবায় এ দিন বিজেপির ওই সভাতেই দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি এবং অধুনা সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপবাবু তাঁদের দল ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে যাওয়াদের কটাক্ষ করে ফের বলেন, “গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে অনেক বদ লোক ঢুকেছিল। ক্ষমতার লোভে এসেছিল। বিজেপি ক্ষমতা পায়নি বলে আবার পালিয়ে গেছে। ভাল হয়েছে, বিদায় হয়েছে। বিজেপি দূষণমুক্ত হয়েছে।” বেলতলি থেকে ফেরার পথে দলীয় কর্মী দেবু হালদারের কাঠ চেরাই মিলে যান বিজেপি নেতৃত্ব। বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিজেপি যুব মোর্চার এই নেতার কাঠ চেরাই মিলে তৃণমূল হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

Related Articles

Back to top button
error: