HighlightNewsদেশ

নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও তাদের ক্ষমতা খর্ব করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে মোদীকে চিঠি দিলেন প্রাক্তন কমিশনাররা

টিভিএন বাংলা ডেস্ক: সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া লোকসভার বিশেষ অধিবেশনে যে সব গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করাতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার তার অন্যতম হল নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিধি। ওই বিলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটি হল, কমিশনারদের বাছাইয়ের ব্যাপারে শেষ কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী তথা সরকার। দ্বিতীয়, নির্বাচন কমিশনারদের পদমর্যাদা ক্যাবিনেট সচিবের সমান হয়ে যাবে। এখন তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সমান মর্যাদা পান যা ক্যাবিনেট সচিবের থেকে উপরে।

প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারেরা অনেকেই মনে করছেন, নির্বাচন কমিশনারদের ক্যাবিনেট সচিবের সমান পদমর্যাদা আসলে মর্যাদাহানি। সেই সঙ্গে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, ভারতের নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের দিকে গোটা বিশ্বের নজর আছে। বহির্বিশ্বের কাছে এই সিদ্ধান্তে খারাপ বার্তা যাবে। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন টিএস কৃষ্ণমূর্তি, এসওয়াই কুরেশি, এসএস ব্রহ্ম, নাসিম জাইদি, ওপি রাওয়াত প্রমুখ অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনারেরা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনারের পদমর্যাদা ক্যাবিনেট সচিবের সমান করা হলে ধারণা হবে তাঁরা সরকারেরই অংশ। ভারতের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই, তারা স্বাধীন, এই ধারণা নয়া বিলের বিধানে মুছে যাবে।

প্রসঙ্গত, বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিলটি নিয়ে সংসদে জোরদার লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছে। ওই বিলে প্রধানমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতেই রাখা হচ্ছে কমিশনার বাছাইয়ের ক্ষমতা। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক একটি রায় খারিজ করতে ওই বিল আনা হয়েছে।  শীর্ষ আদালত রায়ে বলেছিল, প্রধান বিচারপতি, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। সরকার ওই প্যানেল থেকে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিতে সংসদে বিল এনেছে। ইতিমধ্যে সেটি রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে। নয়া ব্যবস্থায় বলা হয়েছে, কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রী, লোকসভা বিরোধী দলনেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একজন মন্ত্রীকে নিয়ে গঠিত প্যানেল সিদ্ধান্ত নেবে। সূত্র – দ্য ওয়াল

Related Articles

Back to top button
error: