HighlightNewsদেশ

তিস্তার গ্রেফতারির প্রতিবাদ রাষ্ট্রপুঞ্জেরও, কে এই তিস্তা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: একাধিক মামলায় মোম্বাই থেকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে সমাজকর্মী সাংবাদিক তিস্তা শেতলাবাদকে।
তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআর-এর
পরিপ্রেক্ষিতে গ্ৰেফতার করা হয় তাকে।
যদিও তিস্তার গ্ৰেফতারের বিরুদ্ধে সমলোচন শুরু হয়েছে দেশ-বিদেশে। দেশের একাধিক বিরোধী দল এই ঘটনায় তিব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। কলকাতার রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বামফ্রন্ট। এবার সেই সারিতে সামিল হল রাষ্টপুঞ্জও। তিস্তার গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জও।
এদিন রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে বিবৃতি দিয়ে মেরি ল্যলর বলেন, ‘‘মানবাধিকার আন্দোলনের বড় মুখ তিস্তা শেতলাবাদ। মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা কোনও অপরাধ নয়।”

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কে এই তিস্তা যাকে নিয়ে এত চর্চা। জানা গিয়েছে, এই তিস্তা শেতলাবাদ হলেন একাধারে সমাজকর্মী সাংবাদিক। তিস্তার ঠাকুরদা এমসি শেতালওয়াড় হলেন পদ্মবিভূষণ সম্মানিত স্বাধীন ভারতের প্রথম এবং সবচেয়ে বেশি সময় স্থায়ী অ্যাটর্নি জেনারেল। তিস্তার বাবা অতুল শেতালওয়াড়ও ছিলেন নাম করা আইনজীবী। তিনি প্রথমে আইন নিয়ে ও পরে দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করেন। কিন্তু কর্মজীবন শুরু করেন প্রথমে একজন সাংবাদিক হিসেবে। ‘দ্য ডেইলি’, ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর মতো সংবাদমাধ্যমের হয়ে কাজ করেছেন তিনি। বাবার থেকে পাওয়া আমেরিকান সাংবাদিক কার্ল বার্নস্টাইন এবং বব উডওয়ার্ডের লেখা ‘অল দ্য প্রেসিডেন্ট’স মেন’ বইটি পড়ার পর থেকেই সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন জাগে তার। সাংবাদিক অনিল ধারকের, কবি জাভেদ আখতার, অভিনেতা রাহুল বসু প্রমুখের সঙ্গে ‘সিটিজেনস্ ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তোলেন। তারপর ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন সমাজকর্মী বা মানবাধিকার কর্মী। তাঁর লেখা একটি বিখ্যাত গ্রন্থ হল ‘গুজরাত: দ্য মেকিং অব আ ট্র্যাজেডি’।

কিন্তু কেন তাকে গ্রেফতার করা হল? জানা গিয়েছে, ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার ঘটনায় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বেশ কয়েক জনের ক্লিনচিটের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া। তাঁর সমর্থনে এগিয়ে এসেছিলেন তিস্তা। সম্প্রতি সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর সেই মামলা সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দেওয়ার পরদিনই তিস্তাকে আটক করে গুজরাত সন্ত্রাস দমন বাহিনী। তার বিরুদ্ধে গুজরাত হিংসা নিয়ে মিথ্যে তথ্য দেওয়ার ও জালিয়াতি করার অভিযোগ জানিয়ে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তবে বিরোধী দল সহ অনেক মানবাধিকার কর্মী অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Related Articles

Back to top button
error: