Highlightরাজ্য

জয় শ্রীরাম না বলায় এবার হিন্দু কিশোরের উপরও অত্যাচার বিজেপি নেতার

টিডিএন বাংলা, শান্তিপুর: যত দিন যাচ্ছে ততই অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে বিজেপি নেতারা। সারা দেশ জুড়ে মানুষকে জোরপূর্বক ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা নিয়ে হিংসাত্মক ঘটনা কম ঘটেনি। এরপরও লাগাম নেই বিজেপি কর্মীদের আচরণে। এবার নদীয়াজেলার ফুলিয়াতে ১০ বছরের একটি নিষ্পাপ কিশোরকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করে স্থানীয় বিজেপি নেতা মহাদেব প্রামানিক।

কিশোরটি ‘জয় শ্রীরাম’ না বলে ‘খেলা হবে’ বলতেই মাথায় রক্ত উঠে যায় মহাদেবের। সে কিশোরটিকে তাড়া করে। ভয়ে পালিয়ে যায় কিশোরটি তার বাড়িতে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী জানা যায় মহাদেব তাকে বাড়ি থেকে তাড়া করে ধরে আনে। তার উপরে কিল-ঘুসি চলতে থাকে এক নাগাড়ে। এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র কিশোর মহাদেব শর্মা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কিশোরটি মা-হারা এবং তার পিতা একজন অতি দরিদ্র ছুতোর মিস্ত্রি। মহাদেব প্রামানিক ফুলিয়াতে চা বিক্রয় করেন। সে কিশোরের গায়ে গরম জল ঢেলে দিয়েছে বলেও অভিযোগ।

কিশোরের পিতা শ্যামচাঁদ শর্মা বলেন যে তিনি কল্পনাও করতে পারেননি তার দশ বছরের শিশুকে এইভাবে নিগ্রহ করা হবে। স্থানীয় মানুষরা না থাকলে হয়তো তার শিশুকে মেরে ফেলা হতো।
এই ঘটনায় উত্তেজিত জনতা প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। তাঁরা১২নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ করতে থাকে। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায় । মহাদেব প্রামাণিক পলাতক। মহাদেব প্রামাণিকের স্ত্রী মিঠু প্রামানিক বলেন, তার স্বামীর ভুল হয়ে গিয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় বালকটির মাথা পিঠ ও পেটে সাংঘাতিকভাবে আঘাত পেয়েছে। তার সিটি স্ক্যান করা জরুরি। স্থানীয় তৃণমূল যুব নেতা পিটার মুখার্জী জানান গ্রামবাসীরা ছেলেটিকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে এবং দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন। যদি তারা না এগিয়ে আসতেন তাহলে হয়তো ঘটনাস্থলেই ছেলেটি মারা যেত। শান্তিপুর পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন এবং প্রকৃত ঘটনা কি ঘটেছে সে বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

Related Articles

Back to top button
error: