টিডিএন বাংলা ডেস্ক: নির্ধারিত সময়ের আগেই এদিন উড়িষ্যার ধামরাই বালেশ্বরের মাঝামাঝি স্থলভাগের ওপর আছড়ে পড়ে ইয়াস। তবে সকাল থেকেই ইয়াসের প্রভাবে উত্তাল হতে থাকে সমুদ্র। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলিতে জল ঢুকে যেতে শুরু করে যায় বলেও জানা গেছে। একই সাথে সকাল থেকেই ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ইয়াসের স্থলভাগের আছড়ে পড়ার আগেই দশটি জেলায় নামানো হয় সেনা। ইতিমধ্যেই উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পুরুলিয়া, বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি ও নদিয়ায় ১৭ কোম্পানি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার, অফিসার সহ ৩ লক্ষ পুলিশকর্মীকে।
গতকাল থেকেই সারাদিন ধরেই ইয়াসের মোকাবিলায় কাজ করে চলেছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুরসভা, পঞ্চায়েত, পিডব্লুউডি, বিদ্যুৎ, সেচ, কৃষি দফতরের প্রায় ৭৪ হাজার কর্মী। খোদ মুখ্যমন্ত্রীও নবান্নে সারারাত জেগে নজরদারি করেন ঝড়ের গতিপথের ওপরে। সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য প্রাণহানি রোধ করা। পাশাপাশি, সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি যাতে কম নষ্ট হয় এবং নষ্ট হলেও যাতে তা দ্রুত মেরামত করা যায়, নিরন্তর সেই প্রচেষ্টা করে যাওয়া হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় তৈরি রাখা হয়েছে স্পিড বোট, গাছ কাটার যন্ত্র এবং অ্যাম্বুল্যান্স। নবান্নের পাশাপাশি সমস্ত পুরসভা, পঞ্চায়েত, জেলায় জেলায় জেলাশাসকের অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।