রাজ্য

প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে করোনা আবহে রীতি মেনেই সম্পন্ন বিসর্জন প্রক্রিয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, মুর্শিদাবাদ: করোনা আবহের মধ্যেও শতবর্ষের ঐতিহ্য মেনে এবছরের বাইচ ও পুজো বিসর্জন উৎসব অনুষ্ঠিত হলো মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে। সোমবার অনাড়ম্বর আয়োজনের মধ্যেই ধূলিয়ান গঙ্গাঘাটে বিসর্জন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্ধশতাধিক প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। গঙ্গা ঘাটে দাঁড়িয়ে থেকে বিসর্জন প্রক্রিয়ার তদারকি করেন জঙ্গিপুরের সিআই উদয় শঙ্কর মন্ডল, সামসেরগঞ্জের ওসি অমিত ভকত, বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, ধূলিয়ান পুরসভার প্রশাসক সুবল সাহা সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রতিবছর দুর্গোৎসব শেষে দশমীর দিনে বিশালাকারের বাইচ প্রতিযোগিতা ও বিসর্জন প্রক্রিয়ার উৎসব পালিত হয় সামসেরগঞ্জের ধূলিয়ান গঙ্গা ঘাটে। শুধু সামসেরগঞ্জ নয়, পাশের ব্লকের পাশাপাশি প্রতিবেশী ঝাড়খন্ড থেকেও হাজার হাজার মানুষ সামিল হন এই উৎসবে। কিন্তু এবছর করোনা আবহ কার্যত সবকিছুকেই উলট পালট করে দিয়েছে। ফলে আগেভাগেই সামসেরগঞ্জ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় কোনোরকম জনসমাগম হতে দেওয়া হবে না বিসর্জন ঘাটে। সেই মতো সোমবার দুপুর থেকেই প্রশাসন ধূলিয়ান প্রবেশ করার মূল রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয়। জায়গায় জায়গায় চলে পুলিশের টহলদারী। জনসমাগম ও ভিড় রুখতে বারবার চলে মাইকিং। সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে চলে নজরদারিও। এদিন দুপুরের পর থেকেই ধূলিয়ান পুরসভা এলাকার ৪২ টি মন্ডপের পাশাপাশি রতনপুর সহ ব্লকের একাধিক জায়গা থেকে প্রতিমা বিসর্জন করতে আসে মন্ডপের লোকজন। পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি ও মুখে মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে অস্থায়ী স্টেজ থেকে চলে বারংবার ঘোষণা। অবশেষে করোনা আবহে রীতি মেনেই সম্পন্ন হয় বিসর্জন প্রক্রিয়া।

পরে ধূলিয়ান পুরসভার প্রশাসক সুবল সাহা জানান, অন্যান্য বছরের থেকে এবছর ভিড় ও জনসমাগম ছিলো না বললেই চলে। আমরা হাইকোর্টের রীতি ও নিয়ম মেনেই বিসর্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। অন্যদিকে প্রশাসনের তৎপরতার জেরে কোনরকম অঘটন ছাড়াই সুষ্ঠভাবে বিসর্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সামসেরগঞ্জের ওসি অমিত ভকত।

Related Articles

Back to top button
error: