![](https://bangla.tdnworld.com/wp-content/uploads/2022/07/xyz.jpg)
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ পর্ব। চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। দুপুর ১টা পর্যন্ত ১৯৫ জন বিধায়ক ভোট দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি পদের জন্য এনডিএ-র প্রার্থী হলেন দ্রৌপদী মুর্মু এবং বিরোধী দলের প্রার্থী হলেন যশবন্ত সিনহা। মোট ২০০জন বিধায়ক, ২৫জন লোকসভা সাংসদ এবং ১০ জন রাজ্যসভার সাংসদ এতে ভোট দেবেন। নয়াদিল্লিতে সংসদে ভোট দিয়েছেন সাংসদরা।
নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন বিভাগ সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে কোভিড প্রটোকলের অধীনে ভোটগ্রহণ করছে। ভিডিওগ্রাফি করে খোলা হয়েছে স্ট্রং রুম। সকাল সাড়ে ন’টায় বিধানসভার ইয়েস সাইড লবিতে কংগ্রেস বিধায়ক দলের সভা ডাকে। এই বৈঠকে স্বতন্ত্র ও সমর্থিত বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি উপজাতি সমাজের সম্মানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মহিলা রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরএলপির আহ্বায়ক ও নাগৌর সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল এই তথ্য জানিয়েছেন। সাংসদ বেনিওয়াল ছাড়াও রাজস্থানে আরএলপির ৩ জন বিধায়ক রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য গোপন ভোট হবে। ভোটের সময় কেউ তাঁর ভোট কাউকে দেখাতে পারবে না। ব্যালট কঠোরভাবে গোপনীয়। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া গোপন ও নিরাপদ রাখতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। বিধানসভা মার্শাল ও বিধানসভা ভবনের ভেতরে ও বাইরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। ভোটের পরে, নয়াদিল্লিতে সংসদ ভবনে ব্যালট বাক্স এবং নির্বাচনী সামগ্রী সুরক্ষিত করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে বিশেষ কালির কলম পাওয়া যাবে। বিধায়কদের গোলাপী এবং সাংসদদের সবুজ ব্যালট পেপার দেওয়া হবে। ২১ জুলাই ফল ঘোষণার দিন ধার্য করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিযুক্ত পর্যবেক্ষক, সিনিয়র আইএএস রাকেশ কুমার ভার্মা এবং রাজস্থানের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক প্রবীণ গুপ্ত, অতিরিক্ত নির্বাচনী আধিকারিক কৃষ্ণ কুনাল, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ড. জোগারাম, রাজস্থান বিধানসভার প্রধান তদন্ত ও রেফারেন্স অফিসার বিনোদ মিশ্র, ডিজিপি আইন ও শৃঙ্খলা ভরতলাল মীনা, দক্ষিণ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার যোগেশ গয়াল, ডেপুটি কমান্ড্যান্ট সিআইএসএফ বিমানবন্দর সুগনারাম, অতিরিক্ত ডিরেক্টর ইনফরমেশন পাবলিক রিলেশন্স অরুণ জোশী, মেডিক্যাল ও হেলথ ডিরেক্টর সুরেশ নেভালকে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভোটের সময়, রাজস্থানের কোভিড নির্দেশিকাও অনুসরণ করা হবে। যদি একজন ভোটার কোভিড পজিটিভ হন, তাহলে তাকে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করে ভোট দিতে হবে। ভোট কক্ষে মাস্ক, স্যানিটাইজার, গ্লাভস ছাড়াও অ্যাসেম্বলিতে একটি মেডিকেল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা রাখা হয়েছে।