HighlightNewsদেশ

কুস্তিগীর-শাহের বৈঠকের কথাও জানা ছিল না, বললেন সাক্ষী, ভিনেশ, বজরং-এর চাকরিতে যোগ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ খাপ চাষীরা: যন্তর মন্তরে স্থগিত বিক্ষোভ

টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ কুস্তীগির ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়া এবং সাক্ষী মালিক রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (ডব্লিউএফআই)-এর প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের মধ্যে রেলে নিজেদের চাকরিতে যোগ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন কৃষক এবং খাপ নেতারা। এমনকি, খাপের আহ্বানে কুরুক্ষেত্রে হতে চলা মহাপঞ্চায়েত স্থগিত করা হয়েছে। ৯ জুন যন্তর মন্তরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই কর্মসূচী। কৃষক নেতারা কুরুক্ষেত্রের মহাপঞ্চায়েতে আলটিমেটাম দিয়েছিলেন যে, ৯ জুনের মধ্যে ব্রিজভূষণকে গ্রেপ্তার না করা হলে তাঁরা আবার যন্তর মন্তরে কুস্তিগীরদের বিক্ষোভ শুরু করাবেন। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই, যন্তর মন্তর থেকে কুস্তিগীরদের সরিয়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

হিন্দি দৈনিক পত্রিকা “দৈনিক ভাস্কর”-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিকেইউ-এর সদস্য নরেশ টিকাইত কুস্তিগীরদের চাকরিতে ফিরে আসায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কুস্তিগীরদের মধ্যে কী চুক্তি হয়েছিল তা আমি জানি না, যদি তারা নিজেরাই একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তবে আমরা এ বিষয়ে কিছু করতে পারি না।’
বিকেইউর জাতীয় মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত বলেছেন, ‘প্রস্তাবিত প্রতিবাদ বাতিল করা হয়েছে। আন্দোলনকারী কুস্তিগীরদের সঙ্গে সরকার আলোচনা শুরু করেছে। এখন কুস্তিগীর ও সরকারের মধ্যে আলোচনার ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রতিবাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’।

বিকেইউ নেতা গৌরব টিকাইত বলেছেন, ‘এখন কুস্তিগীররা যেমন ডাক নেবে, কুস্তিগীর যে ধরনের কথা বলবে, সমর্থন করা হবে। যখন উত্তরপ্রদেশের সোরাম পঞ্চায়েত অনুষ্ঠিত হয়, তখনই সরকার থেকে বার্তা আসতে শুরু করে যে এই বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। ওই সময় ইউনিয়ন বলেছিল, কুস্তিগীরদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কিন্তু, এর পরে কবে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কুস্তিগীররা তা জানা যায়নি’। একইসঙ্গে, ভিনেশ ফোগাটের গ্রামের বালালিতে ডাকা হয়েছে সর্বখাপ সর্বজাতি মহাপঞ্চায়েত। ৭ জুন এই মহাপঞ্চায়েত অনুষ্ঠিত হবে। এর নেতৃত্ব দেবেন সাংওয়ান খাপ-৪০। এতে ভিনেশ ফোগাট এবং সঙ্গীতা ফোগাটও থাকবেন।

প্রসঙ্গত, গোন্ডার বিষ্ণোহরপুরে ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বাড়ি। তিনি কায়সারগঞ্জ লোকসভা আসনের সাংসদ। কুস্তীগিরদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর দিল্লি পুলিশের তদন্ত আরও জোরদার হয়েছে। রবিবার রাতে দিল্লি পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (এসাইটি) বিষ্ণোহরপুরে ব্রিজভূষণের বাড়িতে পৌঁছে ১২ জন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির বয়ান রেকর্ড করে। যার মধ্যে ব্রজভূষণের চালক, নিরাপত্তা কর্মী, মালী ও চাকর সামিল। এসআইটি এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ১৩৭ জনের বক্তব্য রেকর্ড করেছে বলে জানা গিয়েছে।

Related Articles

Back to top button
error: