টিডিএন বাংলা ডেস্ক: বিজেপি, আরএসএস নেতৃত্ব প্রায়ই অভিযোগ করেন ভারতে মুসলিমদের বহু বিবাহ ও অধিক সন্তান জন্মদানের ফলে মুসলিমদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে অচিরেই ভারতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে হিন্দুরা। তাদের এই রাজনৈতিক প্রপোগান্ডা এবার মিথ্যা প্রতিপন্য হলো আমেরিকার একটি গবেষণা মূলক প্রতিবেদনে। এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে বর্তমানে ভারতে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে প্রজনন হার প্রায় একই। যদিও আগে মুসলিমদের প্রজনন হার একটু বেশি ছিল তবে বর্তমানে তা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে হিন্দুদের প্রজনন হারে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে ভারতে আগের তুলনায় প্রায় সব ধর্মীয় সম্প্রদায়েরই প্রজনন হার হ্রাস পেয়েছে। গবেষণামূলক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্ররাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টার। ভারতে মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ধর্মান্তকরণ নয় বরং বেশি জন্মহারকেই চিহ্নিত করা হয়েছে রিপোর্টে। প্রতিবেদন অনুজায়ী ১৯৯২ থেকে ২০১৫-র মধ্যে মুসলমানদের প্রজনন হার ৪.৪ থেকে ২.৬-এ নেমে এসেছে। হিন্দুদের মধ্যে আগেও প্রজনন হার মুসলিমদের তুলনায় কম ছিল। ১৯৯২ সালে হিন্দুদের প্রজনন হার ছিল ৩.৩। ২০১৫-তে সেটা কমে ২.১ হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ভারতের ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলির মধ্যে সন্তান জন্মদানে ভারসাম্যের অভাব আগের তুলনায় অনেক কম।’ এই গবেষণা প্রতিবেদনটি ভারতের দশম আদমশুমারি এবং জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর ভিত্তিতে তাদের জন্মদানের হার, স্থানান্তর এবং রূপান্তর পর্যবেক্ষণ করা হয়েছ।রিপোর্টে এটাও উল্লেখ করা হয়েছে যে ভারতে ধর্মান্তকরনের ঘটনা জনসংখ্যার নিরিখে খুবই কম।
Related Articles
হরিয়ানায় নিহত সাবির মল্লিকের পরিবারের সাথে জামাআত নেতৃত্বের সাক্ষাৎ, ন্যায়বিচার দাবি
2 September 2024
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির পারস্পরিক বোঝাপড়া ও মেরুকরণ আবারও সামনে চলে এসেছে: আইএসএফ
5 June 2024