HighlightNewsআন্তর্জাতিক

পবিত্র কুরআন পোড়ানোর অভিযোগ উঠলো ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে, ক্ষোভে ফুসছে বিশ্ব

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিয়োতে দেখা যায়, কয়েকজন ইউক্রেনীয় সৈন্য একটি পবিত্র কুরআনের কপি ছিঁড়ে কুটিকুটি করছে। এরপর সেই কুরআনের পাতাগুলি দিয়ে তারা আগুন ধরাচ্ছে। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তা নানা মহলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম হয়েছে।

মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের এহেন অবমাননায় সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছেন রুশপন্থী চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ। ইউক্রেনীয় সৈন্য দ্বারা কুরআন অবমাননার ভিডিয়োটি অনলাইনে পোস্ট করেছেন তিনি। শুক্রবার কাদিরভ টেলিগ্রামে লেখেন, ‘শুধুমাত্র কুরআনের পৃষ্ঠা জ্বালানোর ঘটনার নিন্দা জানানো যথেষ্ট নয় আমি ওই ব্যক্তির মাথার দাম ৫ মিলিয়ন রুবল (৬৪ হাজার ৯৫০ ডলার) ঘোষণা করছি।’

আরও জানান, কুরআন অবমাননাকারীকে জীবন্ত ধরে আনতে পারলে পুরস্কারের মূল্য দ্বিগুণও হতে পারে। কাদিরভ জানান, কুরআন অবমাননাকারী ওই ইউক্রেনীয় সেনাকে হত্যার পর ভবিষ্যতে যেকোনও সময়ে পুরস্কারের অর্থ দাবি করতে পারেন যে কেউ। চেচেন নেতার কথায়, ‘যখনই তা হবে, আজ, কাল, বা এক বছরের মধ্যে। পুরস্কারের অর্থ অপেক্ষা করবে।

এই কাজ কে বা কারা করবে তা যায় আসেনা। যেই করুক না কেন সে পুরো অর্থ পাবে।’ আরও এক পোস্টে কাদিরভ জানান, যে কুরআন অবমাননা করেছে তাঁকে কিছুতেই ছেড়ে দেবেন না। তাঁর আশা, ঈশ্বরই ধর্মদ্রোহীদের সাঅজা দেবেন। কাদিরভের মতে, কুরআন অবমাননার যে ফুটেজটি প্রকাশ্যে এসেছে সেটি ইউক্রেনের জাতীয় আদর্শের প্রতিফলন যা ‘ফ্যাসিবাদী’।

কাদিরভ জানান, ঘটনার সময় সেই ইউক্রেনীয় সৈন্যদের আশপাশে কোনও মুসলিম ছিল না। এ কারণেই তারা কুরআন জ্বালানোর সাহস পেয়েছে। কাদিরভ সেসব মুসলিম সৈন্যদেরও তিরস্কার করেন যারা ইউক্রেনের হয়ে এই যুদ্ধে নেমেছেন। বিতর্কিত ভিডিয়ো নিয়ে তুরস্কের ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ ইব্রাহিম আয়দিন বলেন, ‘এটা এক ধরনের উসকানি ও আমাদের ধর্মের ওপর হামলা।’ যদিও তিনি সেই ভিডিয়োর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন ও সোশ্যাল মিডিয়াকে একটি ‘অবিশ্বস্ত উৎস’ বলে উল্লেখ করেন। এদিকে কুরআন অবমাননার ঘটনাকে অস্বীকার করেছে ইউক্রেন সরকার। সূত্র- পুবের কলম পত্রিকা

Related Articles

Back to top button
error: