HighlightNewsদেশ

১৬৫ আসনের ফল ঘোষণা; এনডিএ জয়ী ৮৩, মহাজোট জয়ী ৭৬ আসনে, নীতিশের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ আরজেডি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: শেষপর্যন্ত ভোট গণনা শুরু হওয়ার ১৪ ঘণ্টা পরে ২৪৩টি আসনের মধ্যে ১৬৫টি বিহার বিধানসভা আসনের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। এনডিএ জয়ী হয়েছে ৮৩ আসনে। যার মধ্যে বিজেপি জিতেছে ৪৭টি আসনে। জেডিইউ জিতেছে ২৯টি আসনে। ভিআইপি ৪টি আসনে, এইচএএম ৩টি আসনে জিতেছে। এগিয়ে রয়েছে ৩৯টি আসনে। মহাজোট জয়ী হয়েছে ৭৬টি আসনে। যার মধ্যে আরজেডি ৫২, কংগ্রেস ১২ এবং বামেরা ১২টি আসনে জিতেছে। মহাজোট এগিয়ে রয়েছে আরও ৩৭টি আসনে। এআইএমআইএম জয়ী হয়েছে ৪টি আসনে, এগিয়ে রয়েছে একটি আসনে। বিএসপি জয়ী হয়েছে এক আসনে এবং নির্দল ১ আসনে জয়ী হয়েছে।

এদিকে, নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে নিয়মভঙ্গ এবং ভোট গণনায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল। কংগ্রেসের তরফ থেকেও নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ করা হয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, বৈশালী থেকে তাদের প্রার্থীকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি।

এর আগে, ১১৯টি আসনে মহাজোটের প্রার্থীদের জয়ী হওয়ার দাবি করে রিটার্নিং অফিসারদের বিরুদ্ধে জয়ের সার্টিফিকেট না দেওয়ার অভিযোগ তোলে রাষ্ট্রীয় জনতা দল। একটি টুইট বার্তায় তাঁরা জানিয়েছেন,”এই ১১৯ আসনে গণনা সম্পূর্ণ হওয়ার পর মহাজোটের প্রার্থীরা জিতে গিয়েছেন। রিটার্নিং অফিসার তাঁদের জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। কিন্তু এখন জয়ের সার্টিফিকেট দিচ্ছেন না। বলছেন, আপনারা হেরে গিয়েছেন। ইসিআই-এর ওয়েসবাইটেও তাঁদের জয়ী বলে দেখানো হয়েছে। গণতন্ত্রের এমন লুঠ চলবে না।”

শুধু তাই নয়, নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও করা হয়েছে আরজেডির পক্ষ থেকে। অপর একটি টুইট করে লেখা হয়েছে,”১১৯টি আসন জয়ের পরে, টিভিতে ১০৯টি আসন প্রদর্শিত হচ্ছে। নীতীশ কুমার সমস্ত অফিসারদের ফোন করে তাদের প্রভাবিত করছেন। চূড়ান্ত ফলাফল আসার পর এবং অভিনন্দন জানানোর পর, এখন কর্মকর্তারা হঠাৎ বলছেন যে আপনারা হেরে গেছেন।”

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত প্রায় ১৩ লক্ষ ভোট গননা বাকি আছে বলে জানা গেছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত ৩.৯৭ কোটি ভোট গননা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এনডিএ এবং বিরোধী মহাজোট উভয় শিবিরের পক্ষ থেকেই জয়ের দাবি করা হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত বিহারের শাসনভার শেষ পর্যন্ত কার হাতে যাবে তা স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।

 

Related Articles

Back to top button
error: