HighlightNewsরাজ্যশিক্ষা ও স্বাস্থ্য

ভবিষ্যৎ গড়ার পথ ও পন্থা নিয়ে অনলাইনে ‘অনুসন্ধান’এর বিশেষ আলোচনা

তৃপ্ত শিক্ষক গর্বিত শিক্ষার্থী
তৃপ্ত শিক্ষক গর্বিত শিক্ষার্থী

টিডিএন বাংলা, কোলকাতা: আজ ছিল দ্বিতীয় পর্ব। পড়ন্ত বিকেলের আলোচনা সভা কি মনমুগ্ধকর হতে পারে তা আরো একবার প্রমাণিত হলো। আলাপচারিতার বিষয় ছিল “আজকের ভাবনা ও আগামী দিনের সম্ভাবনা”৷ আলোচনার শুরুতেই বিশিষ্ট শিক্ষক নায়ীমুল হক ছুঁয়ে গেলেন বিষয়ের গুরুত্ব। ছাত্র-ছাত্রীরা বা অভিভাবকরা যা ভাবছেন তার প্রস্তুতি এখনই শুরু করতে হবে যার ফলস্বরূপ তারা ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার অনেক দরজা খুঁজে পাবে। কর্মক্ষেত্রে সফলতা পাবে খুবই সহজে। মজিবুল হকের স্বরচিত কবিতায় তাই ফুটে উঠে নীতি-নৈতিকতার কথা, দায়-দায়িত্বের কথা। অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শশাঙ্ক শেখর মন্ডল এর প্রারম্ভিক আলোচনায় আমরা খুঁজে পাই; গুণের কদর ও গুণীজনদের কদরের বড় অভাব হয়েছে এই সমাজে। তাই গুণীজনদের কাছাকাছি ছাত্র-ছাত্রীদের আনতে হবে। তবেই তারা প্রকৃতপক্ষে উপকৃত হবে। সেইসঙ্গে বুঝবে গুণের কদর ও গুণীজনদের কদর।
আজ এই কর্মশালায় সঠিক পথের সন্ধান দিতে প্রথম বক্তা ডঃ পার্থ কর্মকার বলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পর কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করবে তা ঠিক করতে আগে নিজের ভালবাসার বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। সেইসঙ্গে কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। ওই বিষয়ের সফল পেশাদারদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারলে আরো ভালো হয। এই প্রশাসক নিজের জীবনের নানা ঘটনার কথা উল্লেখ করার সঙ্গে সঙ্গে বলেন এক মেধাবী ছাত্রের কথা যিনি ডাক্তারি পাশ করেও একটা রোগীও দেখেননি। পরবর্তীকালে আরও উচ্চতর পড়াশোনা করে মেডিকেল কলেজের প্রফেসর হয়েছেন। ফিরে গেছেন নিজের শিক্ষকতা জীবনে। অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ তারা যেন কোনো কিছু জোর করে চাপিয়ে না দেন। পরের বক্তা ছিলেন বিজ্ঞানী মতিয়ার রহমান খান। তার কথার বারবার ফুটে ওঠে বাস্তব গতি প্রকৃতির উপর নির্ভর করে উচ্চতর পড়াশোনা ও পেশা নির্বাচন করার পন্থা। তিনি আরো বলেন প্রথাগত একটা ডিগ্রী থাকা খুবই জরুরী। সেই সঙ্গে যুগোপযোগী পড়াশোনা করাই বাঞ্ছনীয়। যে বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করুন না কেন তার সঙ্গে কম্পিউটারের জ্ঞান থাকা অবশ্য জরুরি। পেশার সঙ্গে কম্পিউটারের মেলবন্ধন ঘটাতে পারলেই ছাত্রজীবনে ও পেশাদার জীবনে অনেক উন্নতি ঘটাতে পারবে। তিনি মনে করিয়ে দেন বাস্তব প্রতিকূল পরিস্থিতির সমাধান খুঁজতে গিয়ে কিভাবে দিল্লির এক বস্তিবাসী ছেলে স্যান্ড থেকে সিলিকা বানিয়ে ফেলেন। এছাড়া শোনা যায় আরিয়ান মিশরার কথা যে 14 বছর বয়স এস্টেরয়েড অন্যআবিষ্কার করেন। বর্তমানে অশোকা ইউনিভার্সিটি তে পাঠরত এবং এবং সারা ভারত বর্ষ জুড়ে ৫০০ টি স্বল্প ব্যয়ে অ্যাস্ট্রোনমি ল্যাবরেটরি বানাচ্ছেন।
বিশিষ্ট মনোবিদ অধ্যাপক গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে সারাবিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। এই সত্যটা মেনে নেই এগোতে হবে। প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করে লাভ নেই। জীবনের অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে আসে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছানোর রাস্তা। হা হুতাশ করে লাভ হয়না। প্রতিকূলতা পেরিয়ে এগিয়ে চলতে হয়। এটাই জীবন। অবশেষে বলি এই আলোচনা সভার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছেন সুদূর মার্কিন মুলুক থেকে ডক্টর নাওয়াজেস মন্ডল। তিনি মনে করেন চাকরিদাতারা সব সময় দেখেন চাকরি প্রার্থী কত চরিত্রবান নিষ্ঠাবান ও কর্তব্য পরায়ন। তবে এদিনের এই অনুষ্ঠান সকল শিক্ষক ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে এক মেলবন্ধন তা ফুটে ওঠে বিশিষ্ট শিক্ষক ডক্টর কমল কৃষ্ণ দাস ও বিহান কর্তা ইয়াসিন সাহেবের ধন্যবাদ জ্ঞাপন এর মধ্যে।

Related Articles

Back to top button
error: