রাজ্য

যে কোনও ধরনের যৌন আক্রমণ ধর্ষণের শামিল, নজিরবিহীন রায় কেরল হাইকোর্টের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : জোর জবরদস্তি যৌনাঙ্গ প্রবেশের চেষ্টাই শুধু ধর্ষণ নয়। দেহের যে কোনও অংশে যৌনাঙ্গ স্পর্শ করা বা অনুপ্রবেশ করিয়ে যৌন সুখ পেলে সেটাও ধর্ষণ বলে গণ্য হবে। একটি পসকো মামলার পর্যবেক্ষণে এমনই জানাল কেরল হাইকোর্ট।

বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন এবং বিচারপতি জিয়াদ রহমানের বেঞ্চের স্পষ্ট বক্তব্য, “কোনও নির্যাতিতের শরীর যখন নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তার উরু জোড়া করে রেখে যখন তার ওপর যৌনাঙ্গ ঘষে পেনিট্রেশনের মত সুখ পাওয়ার চেষ্টা করা হয় তখন সেটা ধর্ষণের মতই অপরাধ। এইভাবে পেনিট্রেশনের চেষ্টাও ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী ধর্ষণ বলেই গণ্য হবে।”

প্রতিবেশী নাবালিকার ওপর লাগাতার যৌন নির্যাতনের অভিযোগে নিম্ন আদালত এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে অভিযুক্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু হাইকোর্ট ওই ব্যক্তির পক্ষে রায় দেয় নি। বরং কড়া অবস্থান নিয়েছে। বিচারপতিদের বক্তব্য, “সময়ের সঙ্গে ধর্ষণের সংজ্ঞা বদলেছে। ধর্ষণের সংজ্ঞাকে প্রসারিত করতেই ২০১৩ সালে ৩৭৫ ধারা সংশোধন করা হয়। এখন এই ধারায় বর্ণিত ধর্ষণের অর্থ শুধু যোনিতে পুরুষাঙ্গের প্রবেশ নয়। যোনির উপরাংশ, মূত্রনালী, পায়ুদ্বার বা শরীরের যে কোন অংশে যৌনাঙ্গ স্পর্শ হলে এবং তার দ্বারা যৌন সুখ পাওয়ার চেষ্টা ও তার ফলে বীর্যপাত ঘটলে সেটাকে ধর্ষণ বলে গণ্য করা হবে।”

Related Articles

Back to top button
error: