HighlightNewsরাজ্য

বেআইনি অস্ত্র পুলিশের কাছে জমা দেওয়ার আবেদন বাসন্তীর তৃণমূল বিধায়কের! জোর সমালোচনা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : এবার পুলিশকে সাহায্য করতে বেআইনি অস্ত্র পুলিশের কাছে জমা দেওয়ার আবেদন জানালেন বাসন্তীর তৃণমূল বিধায়ক। আর সেই আবেদন নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানো উতর, জোড় সমালোচনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তীর একটি গ্রামে কয়েকদিন আগেই এক বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে এক যুব তৃণমূল কর্মীর। ওই বাড়িতে বারুদ মজুত ছিল যার ফলে এই বিস্ফোরণ ঘটেবলে অভিযোগ। পুলিশ এই ঘটনার পরপরই ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। এবার বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের সাহায্যে এগিয়ে এলেন স্থানীয় বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল।

এক ভিডিও বার্তায় তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, “বাসন্তীতে যাঁদের কাছে বেআইনি অস্ত্র রয়েছে, তাঁরা যেন আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সে সব স্থানীয় থানা, এসডিপিও অফিস বা পুলিশ-প্রশাসনের কাছে জমা দেন। পুলিশ-প্রশাসনকেও এলাকা থেকে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের আবেদন জানাচ্ছি।” তিনি ওই ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, “কেউ নিজেদের হাতে আইন তুলে নেবেন না। অস্ত্র প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়ে সাধারণ জীবনে ফিরে এলে সরকার সাহায্য করবে।” সেই ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। (টিডিএন বাংলা ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি)

শ্যামলের সেই ভিডিও বার্তার পর বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন পুলিশ কি তা হলে অস্ত্র উদ্ধারে ব্যর্থ। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করেন, “ওঁর এই অসহায় আবেদনে আমি উদ্বিগ্ন। নিজের (শ্যামল মণ্ডল) বিধানসভা এলাকায় বেআইনি অস্ত্র মজুতকারীদের কাছে উনি কাতর আবেদন জানাচ্ছেন।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “পুলিশ জানে, তৃণমূল নেতারাও জানেন, কোথায় অস্ত্র রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও বাসন্তী থেকে বোমা-বন্দুক উদ্ধার হয়নি। পুলিশ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তাই বিধায়ককে এ ভাবে আবেদন করতে হচ্ছে।”

যদিও জানা যাচ্ছে যে, তার সেই ভিডিও বার্তার পর গত দু’দিনে এখন পর্যন্ত কেউ থানা বা এসডিপিও অফিসে অস্ত্র জমা দিতে আসেননি। তারপর থেকে পুলিশও ওই এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার করেনি। ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, “পুলিশ লাগাতার বাসন্তীতে তল্লাশি চালিয়ে ইতিমধ্যে বহু বোমা-বন্দুক উদ্ধার করেছে। বিস্ফোরণের ঘটনার পরে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছে।”

Related Articles

Back to top button
error: