HighlightNewsদেশ

সেঙ্গোল নিয়ে বিজেপির দাবি মিথ্যা, দাবি কংগ্রেসের: এমন কোনও নথি নেই যেখানে নেহেরু বা লর্ড মাউন্টব্যাটেন এটিকে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসাবে বর্ণনা করেছেন

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: নতুন সংসদের উদ্বোধনের এখনও দু’দিন বাকি, কিন্তু এই নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির সংঘর্ষ তীব্র হয়েছে। কংগ্রেস সেঙ্গোল (রাজদণ্ড) নিয়ে বিজেপির দাবিকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেছে।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে ব্রিটিশরা স্বাধীনতার সময় নেহেরুর কাছে সেঙ্গোল (রাজদণ্ড) হস্তান্তর করেছিল এমন কোনো প্রমাণ নেই। এই সংক্রান্ত বিজেপি নেতাদের সব দাবিই ভুল।

একই সঙ্গে সেঙ্গোলের বিরোধিতা করে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার তিনি টুইট করে বলেন, কেন কংগ্রেস দল ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে এত ঘৃণা করে? পন্ডিত নেহরুকে তামিলনাড়ুর একটি পবিত্র শৈব মঠ দ্বারা ভারতের স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে পবিত্র সেঙ্গোল দেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেস এটিকে ‘হাঁটার লাঠি’ ভেবে একটি জাদুঘরে পাঠিয়েছে।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট তারিখের রাতে, তিরুভাদুথুরাই অধিনমের প্রতিনিধি, শ্রী লা শ্রী কুমারস্বামী থামবিরান পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর কাছে সোনার রাজদণ্ড পেশ করেন। দুদিন আগে সেই ছবি প্রকাশ করেছে বিজেপি।

এর জবাবে একটি টুইট বার্তায়
জয়রাম রমেশ বলেছেন, নতুন সংসদ হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি থেকে অর্জিত জ্ঞানে দূষিত হচ্ছে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিজেপি-আরএসএস প্রমাণ ছাড়াই তথ্য বিকৃত করছে। সেঙ্গোল সম্পর্কে অনেক কিছু না জানার জন্য বিজেপির আরও একবার পর্দাফাঁস হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘এটা সত্য যে সেঙ্গোল (রাজদণ্ড), যা তৎকালীন মাদ্রাজ প্রদেশের একটি সনাতন গোষ্ঠী তৈরি করেছিল এবং মাদ্রাজেই প্রস্তুত হওয়ার পরে, ১৯৪৭ সালের আগস্টে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। কিন্তু মাউন্টব্যাটেন, রাজাজি এবং নেহেরু এই রাজদণ্ডকে ভারতে ব্রিটিশ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেছেন এমন কোনো প্রমাণ নেই। এতে বোঝা যায় তাদের সব দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভুয়া। হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি থেকে হয়তো তারা এই জ্ঞান পেয়েছেন।রাজদণ্ডটি পরে এলাহাবাদ মিউজিয়ামে রাখা হয়েছিল। ১৯৪৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর নেহেরু সেখানে যা বলেছিলেন তা সর্বজনীন রেকর্ডে রয়েছে। এটির লেবেল যাই বলুক না কেন।’

জয়রাম রমেশ আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং তার প্রচারকারীরা এখন তামিলনাড়ুতে তাদের রাজনৈতিক লাভের জন্য রাজদণ্ড ব্যবহার করছে। এই লোকেদের (ব্রিগেড) নিজেদের স্বার্থের জন্য তথ্যকে ভেঙ্গে চুড়ে দেওয়ার দক্ষতা রয়েছে।’

Related Articles

Back to top button
error: