HighlightNewsরাজ্য

কলকাতায় ফিলিস্তিনের সমর্থনে সমাবেশের ডাক ফ্রেন্ডস অফ প্যালেস্টাইনের

নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, কলকাতা: ফিলিস্তিনের সমর্থনে ও যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ৩ নভেম্বর আন্দোলনে নামতে চলেছে ফ্রেন্ডস অফ প্যালেস্টাইন। কিছুদিন আগে কলকাতার স্টেটসম্যান অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এবার বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলে জানা গেছে। ওই সমাবেশের আহব্বায়ক হিসাবে আছেন রেড রোডের ঈদের জামাতের ইমাম ক্বারী ফজলুর রহমান।

জানা গেছে, বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই মিছিলে লোক আসবে। ক্বারী ফজলুর রহমান ছাড়াও ওই বিক্ষোভ মিছিলকে সমর্থন দিয়েছেন জামাআতে ইসলামী হিন্দের রাজ্য সভাপতি ডা: মশিহুর রহমান, জমিয়তে আহলে হাদীসের মাওলানা মারুফ সালাফী, শিয়া নেতা মাওলানা মেহার আব্বাস রিজবী, মাওলানা আসলাম মিনাই, মাওলানা খালিদ আজম হায়দারি, নাসির আহমেদ, শাদাব মাসুম, ইরফান শের, গাজী তাওফিক ইসলাম প্রমুখ।

দুপুর ২ টোয় টিপু সুলতান মসজিদের পাশে স্টেটসম্যান বিল্ডিংয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হবে এবং গান্ধী মূর্তির পাদদেশে শেষ হবে। বিক্ষোভ মিছিল সম্পর্কে বলতে গিয়ে জামাআতে ইসলামী হিন্দের রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সাদাব মাসুম টিডিএন বাংলাকে জানান, ফিলিস্তিনের সমর্থনে কলকাতায় তেমন বড় কোনো সমাবেশ হয়নি, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কয়েকটি সংগঠন মিলে।

আমেরিকা ও ইসরাইলের দূতাবাসে স্বারকলিপি জমা দেওয়া হবে কিনা, টিডিএন বাংলার এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ফ্রেন্ডস অফ প্যালেস্টাইন এর পক্ষ থেকে আমেরিকার দূতাবাসে যাওয়া হবে কিন্তু আমরা ইসলারেলকে রাষ্ট্র হিসেবে মানি না, তাই ইসরাইলের দূতাবাসে যাওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা মনে করি না।’

অন্যদিকে বন্দি মুক্তি কমিটির নেতা ছোটন দাস বলেন, বর্বরতার সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছে ইসরাইল। সমস্ত বিশ্বে বড় বড় বিক্ষোভ প্রদর্শন হচ্ছে ইসরাইলের বর্বরতার বিরুদ্ধে। কিন্তু কলকাতায় তেমন বড় কোনো আন্দোলন সংগঠিত হয়নি, সেজন্য আমরা বাংলায় প্রায় সমস্ত মুসলিম সংগঠন সহ মানবাধিকার সংগঠন গুলি মিলে একটি বৃহৎ আকারে ফিলিস্তিনের সমর্থনে সমাবেশ করতে চাই। পশ্চিমা বিশ্বকে বার্তা দিতে চাই যে আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে এবং যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ বন্ধ করুন।

মানবাধিকার কর্মী ছোটন দাস আরও জানান, ফিলিস্তিনের জনগনের এটি স্বাধীনতার সংগ্রাম, ফিলিস্তিন একটি দেশ ছিল মার্কিন এবং ব্রিটিশ মদতে দেশটাকে দুই টুকরো করা হয়েছিল, ইজরায়েল অবৈধভাবে প্রতিষ্টা করা হয়েছিল পরবর্তীকালে পশ্চিমাদের মদতে গোটা দেশ থেকে ফিলিস্তিদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।

‘এটা ফিলিস্তিনের জনগনের স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াই। সারা পৃথিবীর মানুষ তথা ভারতবর্ষের মানুষ তাদের পক্ষে আছে যদিও ভারত সরকারের এতদিনের ঘোষিত অবস্থান পরিবর্তন করেছে মোদি সরকার, তারা সরাসরি ইজরায়েলের পক্ষে দাঁড়িয়েছে কিন্তু ভারতের জনগন স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনের মানুষের পক্ষে আগেও ছিল আজও আছে, টিডিএন বাংলাকে বলছিলেন ছোটন দাস।

পশ্চিমা বিশ্বের মদতেই ইসরায়েলের জন্ম এবং তাদের সমর্থনেই তারা আজকে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, এটা অবিলম্বে বন্ধের প্রয়োজন বলে জানান মজলিশে মুসওয়ারাতের প্রাক্তন নেতা তথা জামাআতে ইসলামীর রাজ্য পরামর্শ পরিষদের সদস্য আব্দুল আজিজ।

Related Articles

Back to top button
error: