টিভিএন বাংলা ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত কর্ণাটকের হুবলি জেলার বিতর্কিত ইদগাহ ময়দানে গণেশ চতুর্থী উদযাপনের অনুমতি দিল নাগরিক কর্তৃপক্ষ। ধারওয়াড়-হুবলি সিটি কর্পোরেশনের কমিশনার, ঈশ্বর উল্লাগদ্দি শুক্রবার গভীর রাতে তিন দিনের উৎসবের অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুমতিপত্র হস্তান্তর করেছেন।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের রায়ের পরেও অনুমতিপত্র হস্তান্তর না করায় নাগরিক সংস্থার নিন্দা জানিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক অরবিন্দ বেল্লাদ এবং মহেশ টেঙ্গিনাকায়ের নেতৃত্বে বিরোধিতা জানাতে রাস্তায় নামে বিজেপি এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। অবরোধ করা হয় সড়কপথ। পুলিশ কমিশনার উমা সুকুমারন এবং অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
এর আগে, শুক্রবার কর্ণাটক হাইকোর্টের ধারওয়াড় বেঞ্চ ইদগাহ ময়দান প্রাঙ্গণে গণেশ মূর্তি স্থাপন এবং গণেশ চতুর্থী উদযাপনের বিরোধিতা করে একটি আবেদন খারিজ করে দেয়। বিতর্কিত জায়গায় গণেশ উৎসব উদযাপনের অনুমতি দেওয়ার হুবলি-ধারওয়াড় সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আঞ্জুমান-ই-ইসলাম সংগঠন আবেদন জমা দিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে গত মাসে সাধারণ কমিটির সভায় অনুমোদন দেওয়া হলেও নাগরিক সংস্থা অনুমতি দিতে অস্বীকার করে। হুবলীতে ইদগাহ বিরোধ ১৯৭১ সালে শুরু হয়েছিল যখন আঞ্জুমান-ই-ইসলাম এই জায়গায় একটি শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণের চেষ্টা করেছিল এবং অভিযোগ, এই কমপ্লেক্স তৈরি করার জন্য ১৯২১ সালের ইজারা চুক্তি লঙ্ঘন করে একটি বিল্ডিং তৈরি করেছিল।
এই ঘটনা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা বিরোধ রাজনৈতিক মোড় নেয়। ১৯৯২ সালে, কংগ্রেসের নেতৃত্বে, এই চত্বরে তেরঙ্গা উত্তোলনের চেষ্টা করা হয়েছিল। যদিও, তৎকালীন শাসক দল “বিতর্কিত” জমিতে পতাকা উত্তোলন করা যাবে না জানিয়ে এই পদক্ষেপ রুখে দেয়। সেসময় আশঙ্কা করা হয়েছিল যে এই পদক্ষেপ সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। এরপর ১৯৯৪ সালে, বিজেপি নেতা উমা ভারতী বলেছিলেন যে স্বাধীনতা দিবসে তিনি এই মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। তবে, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ভয়ে, কংগ্রেস সরকার কারফিউ জারি করে এবং তাঁকে থামিয়ে দেয়। শুধু তাই নয় বেশ কয়েকজনকে বলপূর্বক শহরে প্রবেশ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশের গুলিতে ছ’জন নিহত হয়েছিলেন। সূত্র: আইএএনএস