HighlightNewsরাজ্যশিক্ষা ও স্বাস্থ্য

পশ্চিমবঙ্গেও বাড়ছে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ! মুসলিম হলে মিলছেনা বাড়ি ভাড়া

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: তোরা মুসলিম! দূরে দাঁড়ানো, একদম ছুঁবি না! হিন্দু সম্প্রদায়ের একাংশের মধ্যে এই ‘ছোওয়া-ছুইয়ি ‘ বাতিক গ্রামগঞ্জে হামেশাই দেখা যেত। গ্রামগঞ্জে সেটা অবশ্য কমেছে।পাশাপাশি একসঙ্গে বসবাসের নজির ও বহু জায়গায়। শহরেও সব সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে থাকছেন। তবে কলকাতার কিছু কিছু অঞ্চলে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘর ভাড়া থেকে ফ্ল্যাট বিক্রিতে রয়েছে মারাত্মক এলার্জি। কলকাতার এই অঞ্চল গুলির মধ্যে রয়েছে টালিগঞ্জ, যাদবপুর, গড়িয়াহাট, শ্যামবাজার, বাগবাজার- সহ বেশ কিছু এলাকা। ঘর ভাড়া অথবা ফ্লাট বাড়ি খুঁজতে গেলে তো মুসলিম নাম শোনা মাত্রই এক্কেবারে মুখের উপর ‘না’ বলে দেয়।

এই অভিযোগের কথা সোস্যাল মিডিয়ায় ভূরিভূরি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার সঙ্গে কথা হচ্ছিল। বিজ্ঞান বিভাগের ওই মুসলিম পড়ুয়ার বক্তব্য, সব ছাত্রছাত্রীর হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করা সম্ভব নয়। তাই অধিকাংশ পড়ুয়াকেই থাকতে হয় কোনও না কোন ভাড়া বাড়িতে। আর এতেই বিপত্তি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজমুল গাজী।বাড়ি গ্রাম এলাকায়। তাই হোস্টেল খোঁজার জন্য তাকেও খেতে হচ্ছে নাকানিচোবানি। পড়াশোনার সুবিধার জন্য ক্যাম্পাসের আশেপাশে থাকলেই ভালো। তাই যাদবপুরের পোদ্দারনগর , বিজয়গড় , গড়ফা প্রভিতি এলাকায় ঘর খুঁজতে ছোটাছুটি করতে হয় পড়ুয়াদের।

কোথাও অমুসলিম পড়ুয়ার কাছে, আবার কোথাও পোষ্টার থেকে ফোনে নম্বর সংগ্রহ। সেখান থেকে ফোন নম্বর নিয়ে বাড়ির মালিককে ফোন করলে প্রথমে বলে ‘হবে’। আবার কেউ কেউ মুসলিম নাম শুনলেই ‘না’ করে দেয়। মেস অথবা ভাড়াবাড়িতে অনেকেই কথা বলার জন্য যেতে বলেন। কিন্তু বাড়িওয়ালাদের কাছে গেলে অন্য অভিজ্ঞতা জিজ্ঞেস করলে প্রথমে বলে হবে। কেউ কেউ অ্যাডভান্স হাতে পাওয়ার পর মেসে যাওয়ার তারিখ পর্যন্ত বলে দেয়। যদিও পরে পরিচয় জেনে ছবিটা বদলে যায়। তাদের বলা হয় অ্যাডভান্স টাকা ফেরত নিয়ে যান। ভাড়া দেওয়া যাবে না, মুসলিমদের ভাড়া দিয় না। এক ছাত্রীকে তো এমন ঘটনার পর হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছিল ক’ দিন আগে। ভাড়া না মেলার ফলে তার ক্যাম্পাসের আশেপাশে থাকার সুযোগও মেলেনি। দূরের কোথাও থাকতে হচ্ছে তাকে। সূত্র – পূবের কলম

Related Articles

Back to top button
error: