HighlightNewsআন্তর্জাতিকসাহিত্যসাহিত্য ও সংস্কৃতি

হাসান আজিজুল হকের ইন্তেকাল

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : না ফেরার দেশে চলে গেলেন হাসান আজিজুল হক ( ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাহি রাজিউন)। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপকের প্রয়াণে দুই বাংলার দীর্ঘ সাহিত্যিক যোগসূত্রের উজ্জ্বল যাত্রাপথ হারিয়ে গেল। সোমবার রাতে রাজশাহীতে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন প্রবীণ সাহিত্যিক। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়াও হূদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন তিনি। পরিবারে রয়ে গেলেন স্ত্রী ও চার সন্তান।

১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হাসান আজিজুল হক। ৫৪ সালে বর্ধমানের মহারানী কাশীশ্বরী উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে পূর্ব পাকিস্তানে চলে যান। যৌবনকালে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। একটা সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্যাতন ভোগ করতে হয় তাঁকে। পিএইচডি করতে অস্ট্রেলিয়া গেলেও মন বসেনি সেখানে। ৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কাজে যোগ দেন। সুদীর্ঘ সময় বাংলাদেশে কাটালেও, তাঁর গল্পের চরিত্ররা এপারের ভাষাতেই কথা বলে। ৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। ৯৯ সালে একুশে পদক এবং ২০১৯ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয় তাঁকে। ২০০৬ সালে লেখা ‘আগুনপাখি’ তাঁর প্রথম উপন্যাস।

উপন্যাসিক নয়, বাংলা সাহিত্যে হাসান আজিজুল হক অমর হয়ে থাকবেন ছোটগল্পকার হিসেবে। শকুন, তৃষ্ণা, উত্তর বসন্তে, পরবাসী, বিধবাদের কথার মত অসংখ্য ছোট গল্প লিখেছেন তিনি। তাঁর লেখাতে মুক্তিযুদ্ধের বিভীষিকাময় বিবরণও পাওয়া গেছে। তিনি বরাবর দেশভাগের বিরোধিতা করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ভঙ্গের হতাশা তাঁকে বিদ্ধ করেছে।

Related Articles

Back to top button
error: