HighlightNewsদেশ

কৃষকদের অভিযান রুখতে তৎপর দিল্লি পুলিশ; সীমানায় মোতায়েন সিআরপিএফ

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশন সমূহের ডাকা দেশজোড়া সাধারণ ধর্মঘটের মধ্যেই পাঞ্জাব হরিয়ানা সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে কেন্দ্রের নয়াকৃষি বিলের বিরুদ্ধে কৃষকদের “দিল্লি চলো” অভিজান ঘিরে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। কেন্দ্রের নয়াকৃষি আইনের প্রতিবাদে বুধবার থেকেই রাস্তায় নেমেছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই দিল্লি হরিয়ানা সীমান্তে বদরপুর অঞ্চলে জমায়েত হয়েছে কৃষক সংগঠনের সদস্যদের। আজ এবং কাল অর্থাৎ ২৬ ও ২৭ নভেম্বর কৃষকদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে বলে জানা গেছে। কৃষকদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি রুখতে তৎপর দিল্লি ও হরিয়ানা পুলিশ। বদরপুরের রাস্তায় ইতিমধ্যেই ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের অভিযান রুখতে প্রয়োগ করা হয়েছে জলকামান।মোতায়েন করা হয়েছে সিআরপিএফ। লাগাতার নজরদারি করার জন্য গোটা চত্বরে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। সকাল থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে দিল্লি মেট্রো পরিষেবা।

দিল্লি হরিয়ানা সীমান্ত এলাকায় ইতিমধ্যেই সিমেন্ট এবং লোহার অস্থায়ী ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে সিআরপিএফ বাহিনী।কৃষকদের প্রতিবাদী মিছিল যাতে দিল্লিতে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য সব রকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে। অপরদিকে হরিয়ানার বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকেও আগামী দুদিনের জন্যপাঞ্জাব সীমান্ত সিল করে কৃষকদের এই প্রতিবাদী আন্দোলন রোখার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার মধ্যে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা মোতায়েন করা হয়েছে।

বুধবারই দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে একটি টুইট করে এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আবেদন খারিজ করার কথা জানানো হয়। ওই টুইটে দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে লেখা হয়েছে,”বেশ কয়েকটি সংগঠনের প্রতিবাদ কর্মসূচির (২৬ এবং ২৭ নভেম্বর) আবেদন পেলেও তার কোনওটির অনুমতি দেওয়া হয়নি। সব আবেদন খারিজ করা হয়েছে এবং সংগঠনগুলিকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে”।

দিল্লি মেট্রো প্রতিপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কৃষকদের প্রতিবাদ কর্মসূচি এবং কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে প্রথম থেকেই মুখর পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মত বেশ কয়েকটি রাজ্যের কৃষক সংগঠনগুলি। সম্প্রতি “দিল্লি চলো” অভিযানের ডাক দেয় ওই কৃষক সংগঠনগুলি। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে এই প্রতিবাদ আন্দোলন। এই আন্দোলন সফল করতে পাঞ্জাব থেকে পায়ে হেঁটে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন কৃষকরা। হরিয়ানা একাধিকবার বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত বুধবারই দিল্লির উপকণ্ঠে এসে পৌঁছান কৃষকরা।

Related Articles

Back to top button
error: