Highlightদেশ

“ভারতকে এমনভাবে ভাঙ্গবেন না যে দেশকে একত্রিত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে,” কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছে আবেদন কংগ্রেসের

টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ “ভারতকে এমনভাবে ভাঙ্গবেন না যে দেশকে একত্রিত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে,” কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির কাছে এমনই আবেদন জানায় কংগ্রেস। মঙ্গলবার বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অজয় মাকেন বলেন,”আমি বিজেপির কাছে অনুরোধ করছি, তাঁরা যেভাবে কাজ করছেন, তা দয়া করে পুনর্বিবেচনা করুন। তাঁরা যেভাবে শাসন করছেন তা দয়া করে পুনর্বিবেচনা করুন। সেই কারণেই আমরা ‘ভারত জোড়ো’ স্লোগান নিয়ে সোচ্চার হয়েছি। সারা দেশের মানুষের কাছে একত্রিত হওয়ার আবেদন জানিয়ে সারা দেশে একটি যাত্রার আয়োজন করছি।“

কংগ্রেসের তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে, কেন্দ্র সরকারের উচিৎ উপাসনার স্থান আইন, ১৯৯১- এর অধীনে সমস্ত ধর্মীয় স্থানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখা। এই আইন যে কোনও উপাসনালয়ের রূপান্তরকে নিষিদ্ধ করে এবং যে কোনও উপাসনালয়ের ধর্মীয় চরিত্র বজায় রাখার চেষ্টা করে, যেমন ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট বিদ্যমান ছিল। মাকেনের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদি সরকারের ব্যর্থতা থেকে মনোযোগ সরাতে এবং মূলতঃ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থির খারাপ অবস্থা থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য ধর্মীয় মেরুকরণের মাধ্যমে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমও জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা প্রসঙ্গে একই কথা বলেছিলেন।
জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে একটি শিবলিঙ্গ আবিষ্কারের দাবি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে জবাবে অজয় মাকেন বলেন,”সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া আদেশটি পূজার স্থান আইন ১৯৯১-এর অধীনে ছিল।” তিনি আরও বলেন, “সমস্ত বিষয়টিকে এই আইনের প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত, যা স্থিতাবস্থার আহ্বান জানায়। কিন্তু আমরা স্পষ্ট যে বিজেপি এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলি এই ধরনের বিষয়গুলি উত্থাপন করছে কারণ তারা চায় না যে আসল সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করা হোক।”

অজয় মাকেন আরও বলেন, “প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এবং বেকারত্বের মূল্য আজ অসহনীয় চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আজ যে পাইকারি সূচক এসেছে তা হল ১৫.০৮ শতাংশ, যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। রুপি সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। শ্রীলঙ্কায় যা হয়েছে তা আমরা দেখেছি। বিজেপি চায় না যে প্রকৃত বিষয়গুলি জনসাধারণের বক্তব্যের মধ্যে প্রাধান্য পাক। বিজেপি যখন ভারতের মানুষকে বিভক্ত করে, তখন তারা দেশ ভেঙে দেয়। ভারত শুধু একটি স্থলভাগ নয়, একটি ভৌগলিক সত্তা। ধর্ম ও বর্ণের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করে ভারত ভাঙছে। “

Related Articles

Back to top button
error: