প্রথমে ভোজ্যতেল তারপর চিনি, সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানল কেন্দ্র

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: পেট্রোপণ্য, খাদ্যদ্রব্য, ভোজ্য তেল সবকিছুরই অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মধ্যবিত্তের। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানলো কেন্দ্র। পেট্রোল-ডিজেলের পর এবার ভোজ্যতেল এবং চিনির দামে লাগাম টানতে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রের মোদি সরকার।
মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়, বছরে ২০ কুড়ি লক্ষ টন অশোধিত সূর্যমুখী তেল এবং সয়াবিন তেল আমদানি করা যাবে। তার জন্য আমদানি শুল্ক এবং কৃষি পরিকাঠামো ও উন্নয়ন সেস দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আগামী দু’বছরের জন্য জারি করা হয়েছে এই নির্দেশ। এর ফলে ভোজ্যতেলের দাম লিটার প্রতি তিন টাকা করে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, বিগত ছ’বছরের মধ্যে এই প্রথম চিনি রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কয়েকটি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ‌সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১ জুন থেকে বছরে ১কোটি টনের বেশি চিনি রপ্তানি করা যাবে না। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে চিনির পরিমাণ বাড়বে। এর ফলে মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানা যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের।
ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেডের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, চিনি রপ্তানি চলতি বছরের ১ জুন থেকে সীমাবদ্ধ বিভাগে রাখা হয়েছে। সিএক্সএল এবং টিআরকিউ-এর অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা চিনির ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না বলেও জানানো হয়েছে।