HighlightNewsদেশ

অবশেষে অপরাধী সনাক্তকরণ বিল পাস লোকসভায়, অপব্যবহার হবে এই আইনের, অভিযোগ বিরোধীদের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : বিরোধী দলগুলির তীব্র বিরধীতার মধ্যেও মোদি সরকার লোকসভায় পাস করিয়ে নিল অপরাধীদের সনক্তকরণ বিলটি। কেন্দ্রীয় সরকার গতকাল সোমবার ফৌজদারি মামলায় সনাক্তকরণ, তদন্তের উদ্দেশ্যে, রেকর্ড সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে বায়োমেট্রিক ডেটা এবং দোষী ব্যক্তিদের অন্যান্য পরিমাপের রেকর্ডিং অনুমোদন করতে লোকসভায় একটি বিল পেশ করে। যার নাম দেওয়া হয় ‘দ্যা ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (আইডেন্টিফিকেশন) বিল, 2022’। বিলটি লোকসভায় পেশ করেন জুনিয়র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অজয়​মিশ্র টেনি। সোমবার বিলটি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার হয়। ইউএপিএ বিলের ন্যায় অপরাধী সনাক্তকরণ বিলটিও বিরোধী মত দমন করতে ব্যবহার করা হবে এই অভিযোগ তুলে বিরোধীরা এই বিলের বিরোধিতা করে। গতকাল বিলটির বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ শানায় কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, বামেদের মতো বিরোধী দলগুলি। কিন্তু এতদাসত্ত্বেও এরপর ধ্বনি ভোটে বিলটি লোকসভায় পাস হয়ে গেল। নিয়ম অনুযায়ী, এবার বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করা হবে।

তবে এই বিলটির বিরুদ্ধে বিরোধী শিবির ঐক্যবদ্ধ। মোদি সরকার বিরোধী নেতাদের চাপে রাখার পরিকল্পনা করছে এবং তারই হাতিয়ার হিসাবে এই ধরনের আইন করতে চাইছে। কিন্তু বিরোধী শিবিরের সমস্ত আপত্তি-অভিযোগ খারিজ করে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন , “শুধুমাত্র বিরোধী আসনে থাকার জন্য অর্থহীন বিরোধিতা করা ঠিক নয়।” তিনি আরও বলেন, “ব্যক্তি স্বার্থ সুরক্ষা করতে গিয়ে সমাজ এবং দেশের সুরক্ষা যাতে লঙ্ঘিত না হয় সেটাও আমাদের দেখতে হবে।”

অন্যদিকে কংগ্রেস এবং তৃণমূল সহ বিরোধী দলগুলি লোকসভায় পাশ হওয়া এই বিলটিকে “একজন ব্যক্তির মৌলিক অধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন” বলে অভিহিত করেছে। তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র এই বিলটিকে ব্রিটিশ সরকারের দমনপীড়নমূলক আইনের ন্যায় একটি দমনপীড়ন মূলক বিল বলে আখ্যায়িত করেন। কংগ্রেস সাংসদ মিঃ তেওয়ারি বলেন, “এটি সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে জীবনের অধিকারে অন্তর্ভুক্ত ভুলে যাওয়ার অধিকারের লঙ্ঘন”। বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেও তো অভিযোগ ছিল।” কেরালার সাংসদ এন কে প্রেমচন্দ্রনও বিলের বিরোধিতা করে বলেন, “যদি নাগরিক অধিকার রক্ষার জন্য বা কোনো প্রকৃত দাবিতে অবস্থানের জন্য আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়, এবং যদি আমার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর শুরু করা হয় তবে একটি ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। এর কী যুক্তি আছে?’

Related Articles

Back to top button
error: