টিডিএন বাংলা ডেস্ক: লকডাউন এর সময় থেকে দীর্ঘদিন ধরে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকার পর শেষ পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চালু করায় ছাড়পত্র দিল নবান্ন। সোমবার নবান্নে রাজ্য প্রশাসন ও পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্তাদের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে সরকার। তবেকি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং কবে থেকে লোকাল ট্রেন চলতে শুরু করবে সে সম্বন্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৫ নভেম্বর।
আনলক পর্ব শুরু হওয়ার সাথে সাথে বেশ কয়েকটি রাজ্যে রাজ্যবাসীর সুবিধার্থে সীমিত সংখ্যায় লোকাল ট্রেন চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের শুধুমাত্র স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলাচল করেছে। দিনের পর দিন ট্রেন বাদে অন্য উপায়ে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্টেশনে ওই স্পেশাল ট্রেনে চড়ার আবেদনের সরব হন যাত্রীরা। সম্প্রতি হাওড়া ও আরো কয়েকটি স্টেশনে এই দাবিতে রণক্ষেত্রের আকার নেয় স্টেশন চত্বর। এর পরেই তড়িঘড়ি রেলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে সম্মতি জানায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেইমতো আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্তারা। ওই বৈঠকেই কঠোরভাবে করো না বিধি মেনে লোকাল ট্রেন চালু করার সম্মতি জানিয়েছে সরকার।
বৈঠকে জানানো হয়েছে, লকডাউন এর আগে হাওড়া এবং শিয়ালদা ডিভিশনের প্রতিদিন যতগুলো ট্রেন চলত নতুন তালিকা অনুযায়ী ততগুলি ট্রেন চলবে না। প্রতিদিন আগের তুলনায় ১০-১৫ শতাংশ ট্রেন চলাচল করবে। তবে এই পরিসংখ্যান খুব শীঘ্রই বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হবে। এর পাশাপাশি যাত্রী সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১২০০ -এর জায়গায় ৬০০ যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াত করতে পারবেন। তবে টিকিট কাটার পদ্ধতি বা হকারদের ট্রেনে ওঠার অনুমতি মিলবে কিনা এই সংক্রান্ত আরও বেশ কিছু বিষয় সম্বন্ধে জানানো হয়নি এদিনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। বিশেষত লোকাল ট্রেনে একাধিক দরজা থাকার জন্য ট্রেন চলাচল শুরু করলে কিভাবে যাত্রীদের আটকানো সম্ভব হবে বা কি পদ্ধতিতে যাত্রীসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হবে সে সম্বন্ধেও কোনো বিশদ তথ্য দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে অশান্তি এবং চরম বিশৃংখলা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন জিআরপি এবং আরপিএফএর কর্তারা।