HighlightNewsরাজ্য

এবার হাঁসখালিতে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি! আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : বীরভূমের রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে যখন উত্তাল বাংলার রাজনীতি। তারই মধ্যে আবারও তৃণমূল নেতাকে পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে গুলি। এবার নদীয়ার হাঁসখালিতে পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা সহদেব মণ্ডলকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করা হল। ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। এদিন পার্টি অফিস থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সহদেব মণ্ডল নামে ওই তৃণমূল নেতা। সেই সময় পিছন দিক থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। প্রথমে চালানো গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দুষ্কৃতীদের ছড়া দ্বিতীয় গুলি সহদেবের কাঁধে লাগে। যদিও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রথমে তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কিন্তু পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সেসে। আজ তাঁর অস্ত্রোপচার করার সম্ভাবনা আছে।

খবরে প্রকাশ, বুধবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার হাঁসখালি থানার বগুলার মুড়াগাছা দরগাতলা এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলের কাছে। আক্রান্ত তৃণমূল নেতা সহদেব মণ্ডল বগুলা ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য অনিমা মণ্ডলের স্বামী। এই খুনের চেষ্টার পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আছে বলে মনে করছে তৃণমূল। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিজেপির দিকে। হাঁসখালি দক্ষিণ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শিশির রায়ের কথায়, ‘গত বিধানসভা নির্বাচনে স্থানীয় বিজেপির এক সমর্থকের সঙ্গে গণ্ডগোল বেঁধেছিল সহদেব মণ্ডলের। আমাদের ধারণা প্রতিহিংসাপরায়ণ বশত ওই ছেলেটি সহদেবকে খুনের চেষ্টা করেছে। রাজনৈতিক কারণে এই খুনের চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত।’ যদিও সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে বিজেপি। পুলিশ সূত্র খবর, এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

এই ঘটনায় থমথমে নদিয়ার হাঁসখালি গ্রাম। যাতে আর কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না ঘটে তাই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী। আক্রান্তের পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতা সুব্রত বিশ্বাসের হাত রয়েছে। বিজেপি নেতা বছরখানেক ধরে হুমকি দিচ্ছিলেন। দু’ পক্ষের মারামারিও হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে এই হামলা প্রসঙ্গে রাণাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভানেত্রী রত্না ঘোষ জানান, কেন গুলি করা হয়েছে, কারা গুলি করেছে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। এই ঘটনায় বিজেপির হাত থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছে না অভিযুক্ত সেই বিজেপি নেতার।

Related Articles

Back to top button
error: