আবারও গণধর্ষণ রাজ্যে, শান্তিনিকেতনে মেলা থেকে ফেরার পথে আদিবাসী কিশোরীকে ‘গণধর্ষণ’

প্রতীকী ছবি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : আবারও গণধর্ষণ রাজ্যে! আবারও হাঁসখালি কাণ্ডের ছায়া বীরভূমের শান্তিনিকেতনে। প্রেমিকের সঙ্গে থাকা আদিবাসী নাবালিকাকে জোড় করে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠলো শান্তিনিকেতনে। খবরে প্রকাশ, শান্তিনিকেতন থানার আদিত্যপুরে বড়ডাঙা গ্রামে চড়ক মেলা ছিল। বৃহস্পতিবার মায়ের সঙ্গে চড়কের মেলা দেখতে গেছিল নাবালিকা। সেখানেই দেখা হয় এক পরিচিত বন্ধুর সঙ্গে। তার সঙ্গে গল্প করার সময় তাদের পিছু নিয়েছিল চার-পাঁচ জন। অভিযোগ, সুযোগ বুঝে ওই বন্ধুকে মারধর করে ওই নাবালিকাকে নদীর পাড়ে তুলে নিয়ে যায়। তারপর সেখানেই পাঁচজন যুবক মিলে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। মেয়েটির বন্ধু স্থানীয়দের খবর দিলে স্থানীয়রা এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। জানা গেছে, ওই নির্যাতিতা নাবালিকা আদিবাসী আপাতত আশঙ্কা জনক অবস্থায় বর্তমানে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শান্তিনিকেতন থানা এলাকার এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য এলাকায়।

এই ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে স্থানীয় থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ও বোলপুরের এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী নাবালিকার গ্রামে যায়। ওই নাবালিকার প্রেমিকের বয়ান অনুযায়ী অভিযুক্তদের স্কেচ তৈরি করে পুলিশ। পরে গ্রামে যান খোদ বীরভূম পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। আদিবাসী নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন আইজি ভরতলাল মীনাও। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই অন্য জেলার। এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গিয়েছে। বাঁকি অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। অন্যদিকে নাবালিকার মেডিকেল টেস্ট করতে দেওয়া হয়েছে। কীভাবে কী হয়েছে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বোলপুর থানা এলাকায় এক আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে তৃণমূল নেতা ও তার সাগরেদরা। তার রেশ কাটতে না কাটতে ফের শান্তিনিকেতনে গণধর্ষণের ঘটনায়। দিনের পর দিন রাজ্যে ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। পরপর কয়েকদিনের ব্যবধানে খবরের শিরোনামে উঠে আসছে পাশবিক এই অপরাধের অভিযোগ। যা নিয়ে রাজ্যের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে।