রাজ্য

দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকা আহিরন পাখিরালয়কে মডেলিং করার উদ্যোগ, পরিদর্শনে বিডিও

নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, মুর্শিদাবাদ: দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকা আহিরন পাখিরালয়কে মডেলিং করার উদ্যোগ নিলো সুতি-১ ব্লক প্রশাসন। ৬৫ একর এলাকা জুড়ে আহিরন জলাশয়কে সংস্কার করে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা ও তাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলতে কাজ শুরু করলেন সুতি-১ ব্লকের নবনিযুক্ত বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক।

সোমবার সেই পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষে ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা মোখলেসুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে জলাশয় পর্যবেক্ষণ করলেন তিনি। পাশাপাশি পুকুর খনন ও সৌন্দর্যায়নের লক্ষে যাবতীয় তৎপরতা শুরু করেছে সুতি-১ ব্লক প্রশাসন।

উল্লেখ করা যেতে পারে, দীর্ঘ প্রায় এক দশক আগে মুর্শিদাবাদের সুতি-১ ব্লকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে আহিরন এলাকায় ৬৫ একর জায়গার একটি জলাশয়কে এশিয়ার বৃহত্তম পাখিরালয় হিসাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু নামেই পরিকল্পনা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে, অবহেলায় কুচুরিপানায় ভরে যায় জলাশয়। জলাশয়ের বেশিরভাগ অংশ মজে যায়।

একাধিকবার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলেও সুষ্ঠ পরিকল্পনার অভাবে পাখিরালয় গড়ে তোলা হয়নি। সম্প্রতি কদিন আগেই ব্লকে নতুন বিডিও হিসাবে যোগদান করেছেন এইচ এম রিয়াজুল হক। তারপরেই তৎপরতা শুরু করেন তিনি। মজে যাওয়া জলাশয়কে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এবং লাভজনক ও পর্যটন কেন্দ্র করে তুলতে পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রশাসন। পাশাপাশি জলাশয়কে মাছ চাষের উপযোগী করে তোলে আবার
পরিযায়ী পাখি আনাগোনা করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এবিষয়ে সুতি-১ ব্লকের বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক জানান, দীর্ঘদিন আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া পাখিরালয় গড়ে তোলতে কাজ শুরু হবে। এখানে পাখি প্রেমীদের জন্য পার্ক গড়ে তোলা হবে। প্রথমে জলাশয়টিকে খনন করে জায়গাটি উঁচু করে মডেলিং করা হবে। জলাশয়টি খনন করার পর মাছ চাষ কিংবা আরো বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠলে এলাকাবাসীরা উপকৃত হবে। আগে যেমন প্রতি বছর শীতের সময় প্রচুর বিদেশি পাখি আসতো ঠিক তেমনি খনন করার ফলে জলাশয়টি আবার আগের অবস্থায় চলে এলে পাখির আনাগোনাও বাড়বে। পাশাপাশি এখানেও ওয়াচ টাওয়ারও গড়ে তোলা হবে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে মজে থাকা জলাশয়কে পাখিরালয় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলতে ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

Related Articles

Back to top button
error: