HighlightNewsআন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ‘বিচ্ছিন্নকরণ, দখল ও বর্জন’ নীতি অনুসরণ করছে ইজরাইল, অভিযোগ ‘অ্যামনেস্টি’র

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে ইজরাইল ‘বর্ণবাদী বিচ্ছিন্নকরণ, দখল ও বর্জন’ নীতি অনুসরণ করছে বলে অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। মঙ্গলবার সংস্থাটি তাদের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যেখানে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইজরাইলের এই মানবতাবিরোধী বর্ণবাদী আচরণের সমালোচনা করা হয়েছে।

লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠীটি বলেছে, ফিলিস্তিনিদের জমি ও সম্পত্তি ইসরায়েলিদের দখল, বেআইনি হত্যা, জোরপূর্বক হস্তান্তর এবং নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যানের ওপর গবেষণা ও আইনি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তারা ২১১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

যদিও ইজরাইল এই রিপোর্টের তীব্র প্রতিবাদ করেছে। তাদের অভিযোগ এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বর্ণবাদের নীতি অনুসরণ করে দ্বিতীয় প্রতিবেদন তৈরি করেছে অ্যামনেস্টি। তাদের আরও অভিযোগ এটি ইহুদিবিদ্বেষী গোষ্ঠীগুলো থেকে ‘মিথ্যা তথ্য সংগ্রহ এবং পুনর্ব্যবহার করে এবং ‘ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে আগুনে ঘি ঢালা’র জন্য তৈরি করা হয়েছে।

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইসরাইলের জন্মের সময় বহু ফিলিস্তিনি এবং আরব সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে পালিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ইসরাইলে প্রায় ২০ শতাংশ ফিলিস্তিনি এবং আরব থাকতে শুরু করেন। তাদের সঙ্গে ইসরাইল বিমাতৃসুলভ আচরণ করে। কাজের সুযোগ থেকেও তারা বঞ্চিত হন। গাজা এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক ধরলে দুইপক্ষের মানুষের অনুপাত প্রায় সমান সমান। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা হয়েছে। আরব নাগরিক, অধিকৃত ভূখণ্ডের ফিলিস্তিনি এবং বিদেশে বসবাসকারী শরণার্থীদের যেখানেই অধিকারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সেখানেই ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন ও আধিপত্যের ব্যবস্থা চালু করেছে।
জোরপূর্বক স্থানান্তর, নির্যাতন ও বেআইনি হত্যার পাশাপাশি ‘নিপীড়ন ও আধিপত্যের একটি ব্যবস্থা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে’ ইসরায়েল ‘মানবতাবিরোধী বর্ণবাদী অপরাধ’ করছে।

অ্যামনেস্টির এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরপরই ইজরাইল কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইজরাইলের মতে অ্যামনেস্টি ইতিহাসের ভুল ব্যাখ্যা করেছে। ইজরাইল অ্যামনেস্টির বিরুদ্ধে অ্যান্টিসেমিটিজমের জন্ম দেওয়ার মতো কঠোর অভিযোগও উন্থাপন করেছে। কঠোর ইহুদিবিরোধিতা বোঝাতে তারা এই শব্দ ব‍্যবহার করে।

অ্যামনেস্টির সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস কোলামার্ড অবশ্য ইজরাইলের এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বরং তিনি দাবি করেছেন, ইতিহাস ব্যাখ্যা করেই মানবাধিকার সংগঠনটি এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। ইসরাইল অকারণে অ্যামনেস্টির বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগছে।

Related Articles

Back to top button
error: