রাজ্য

ওর কোনো গুরুত্বই নেই, এবার অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ দলেরই মন্ত্রীর

কৌশিক সালুই, টিডিএন বাংলা, বীরভূম: আগাম বিধানসভার প্রার্থী ঘোষণা, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট হতে না দেওয়া এবং মঙ্গলকোট আউসগ্রাম কেতুগ্রাম বিধানসভার সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন রাজ্যের গ্রন্থাগার ও জন শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। শুক্রবার বীরভূমের যাত্রা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন ছিল। সেখানে তিনি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ তোলেন। সংগঠনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি আনিসুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ। জেলার 500 দুস্থ মানুষের মধ্যে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বস্ত্র বিতরণ সংগঠনের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। এছাড়াও জেলাজুড়ে উক্ত সংগঠনের পক্ষ থেকে এক লক্ষ গাছ লাগানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন,” পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছিলাম রাজ্য জুড়ে এত কাজ হয়েছে তাতে উন্নয়নে নিরিখে রাজ্যে ভোট হবে। এখানে চড়াম চড়াম আর মশারী টাঙানোর কোন প্রয়োজন নেই। এখন আবার দেখছি প্রার্থী ঘোষণা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী,পি কে ,অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি আছেন। তা তো সবাই ভালো কাজ করছেন। সময় হলে তারাই করবেন। দলের মধ্যে একটা অন্তর্দ্বন্দ্ব ও গৃহযুদ্ধ লাগানোর চেষ্টা করছেন তিনি। এটা খুব নিন্দনীয় কাজ। বীরভূমের ওই নেতা পথ দেখিয়েছিলেন কিভাবে নির্বাচন করতে হয় এবং কিভাবে জিততে হয়। এই যে তার আস্ফলন খুব মারাত্মক। দলের নেত্রী ঠিক করবেন কে প্রার্থী হবেন কি হবেন না। কে টিকিট পাবেন। উনি কে এই সমস্ত বলার। বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট, আউসগ্রাম ও কেতুগ্রাম বীরভূম এর সাথে যুক্ত । এর ফলে এই তিন জায়গা ক্যান্সার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওখানের পরিস্থিতি আরো জটিল করেছেন এখানের নেতা। আমি এর প্রতিবাদ করছি। এতে দলের লাভ হবে না”। মন্ত্রী আসিস বন্দোপাধ্যায়কে সভা মঞ্চ থেকে অপদার্থ বলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,” তাকে এইসব কথা বলার অধিকার কে দিয়েছে। তিনি নিজেকে কি ভাবেন। ওসব ভাববেন না। জমানো বদলাচ্ছে। মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আসছে। জনগণ উত্তর চাইলে তখন কঠিন হয়ে যাবে”। তিনি আরো বলেন আমি পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বলেছিলাম বীরভূম পথ দেখিয়েছে সর্বনাশের। সেরকম আগাম প্রার্থী ঘোষণা করে সেই পথ দেখাচ্ছে। দলের মধ্যে এতে বিভাজন তৈরী হবে। দলকে শক্ত হতে হবে। ভাববেন না সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কেউ নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা আছে। কেউ যদি দল বিক্রি করে খেতে চান আর যা খুশি তাই করব এটা মেনে নেওয়া হবে না। আমরা দলের একজন নিষ্ঠাবান কর্মী আমি বড় নেতা নয়। কিন্তু এই আস্ফালন পাবলিক তার উত্তর দেবে। তাই দলকে বলবো শক্ত হাতে ধরুক। চাবুক মারুফ পিঠে। দল বড় ব্যক্তি ছোট। দল ব্যক্তি তৈরি করে”।
যদিও মন্ত্রী তথা মঙ্গলকোটের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে কোন গুরুত্ব নিতে নারাজ বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন,” তার কাছে কোনো গুরুত্ব নেই ওর। ওই তিন বিধানসভার গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলই বলে দেবে তার উত্তর”।

Related Articles

Back to top button
error: