নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, কলকাতা: হাথরাস কান্ডের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলো জামায়াতে ইসলামী হিন্দ। সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সভা করা হয় জামায়াতের পক্ষ থেকে। পথে নেমে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন মহিলারাও। অবিলম্বে উত্তরপ্রদেশের নির্যাতিতা ওই যুবতীর গণধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তদের বিচার করে শাস্তির দাবিতে সরব হন তারা।
এদিন জামাআতে ইসলামি হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ শাখার উদ্যোগে রাজ্যজুড়ে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন, পথসভা, জেলা শাসক, বিডিও কে মেমরেণ্ডাম প্রদানসহ জনমত গঠন করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।জামাআতে ইসলামি হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি আব্দুর রফিক বলেন, এই লজ্জাজনক হাথরস কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে জামাআত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। যেখানে একজন দলিত নারীকে গণধর্ষণ করে নির্লজ্জ্ব ভাবে জিভ কেটে ফেলা হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের কাজ ছিল জনগন ও নারীদের নিরাপত্তা প্রদান করার সেখানে উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার তা না করে অপরাধীদের আড়াল করতে চাইছে। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য দের মুখ খুলতে বাঁধা প্রদান করা, গণমাধ্যম কে প্রবেশ করতে না দেওয়ার মত ঘটনায় যোগীর প্রশাসনের মানবতাবিরোধী ও স্বৈরাচারী নির্লজ্জ্ব মানসিকতার বহি প্রকাশ ঘটেছে। তিনি বলেন, সারাদেশে নারীদের সাথে বলাৎকার, অসভ্যতা, ধর্ষণের মতো ঘটনা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মৌলিক কারণগুলির মধ্যে অন্যতম হলো, বিলম্বিত বিচার প্রক্রিয়া ও অপরাধীর শাস্তি সুনিশ্চিত না হওয়া। তিনি বলেন, ইসলামসহ সকল ধর্মীয় বিধান এক্ষেত্রে কঠোর বিধান প্রয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে। ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প কোনো সাজা হতে পারে না। মাওলানা আব্দুর রফিক ধর্ষণ বন্ধের জন্য কঠোর শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি মদ, নেশাদ্রব্য, অশ্লীল চলচ্চিত্র সহ যাবতীয় মাধ্যম অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানান।