দেশরাজ্য

দিনহাটার মহকুমা শাসক নিযুক্ত হলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম মহিলা আইএএস অফিসার রেহানা বশির

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: কোচবিহার জেলার দিনহাটার মহকুমা শাসক নিযুক্ত হলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম মহিলা আইএএস অফিসার ডা. রেহানা বশির। আর তিনিই দিনহাটার প্রথম মহিলা মহকুমাশাসক। ইতিপূর্বে কোনো মহিলা মহকুমাশাসক পায়নি দিনহাটা। যার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বেশ আনন্দিত দিনহাটাবাসী। মঙ্গলবারই তাঁকে তাঁর দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেন দিনহাটার সদ্য প্রাক্তন মহকুমাশাসক হিমাদ্রি সরকার। হিমাদ্রি সরকার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সেক্রেটারি হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার ফলে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন ডা. রেহেনা বশির।

জানা গিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের সালওয়াহগ্রামের পুঞ্চ জেলার বাসিন্দা রেহানা বশির। ছোট থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী রেহানা কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস থেকে এমবিবিএস পড়াশোনা শুরু করেন। স্বপ্ন ছিল একজন ভালো ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করা। কিন্তু ২০১৭ সালে তাঁর দাদা আমির বসির উপিএসসি পরীক্ষায় আইএএস-এ ৮৪৩ র‍্যাঙ্ক করায় দাদাকে দেখে অনুপ্রাণিত হন রেহানা বশির। তারপরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন ডাক্তার নয় আইএএস অফিসার হবেন। সেই অনুযায়ী শুরু করেন পরীক্ষার প্রস্তুতি। ২০১৮ সালে পরীক্ষায় বসেন রেহানা বশির। আর প্রথমবারেই দাদার থেকেও ভালো র‍্যাঙ্ক নিয়ে পাশ করেন তিনি। তাঁর র‍্যাঙ্ক হয় ১৮৭। তিনিই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম মহিলা আইএএস অফিসার।

রেহানা বশির তাঁর সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলেন, “আমার পক্ষে চাপ নেওয়া সহজ ছিল না, তবে আমার ভাই, যিনি ইতিমধ্যে প্রশাসনে রয়েছেন, আমাকে গাইড করেছিলেন৷” ডাক্তারি পড়তে-পড়তে একেবারে আইএএস অফিসার হওয়া নিয়ে প্রশ্নও করা হলে তিনি সে সময় বলেন, ‘আমি যখন ২০১৬ সালের নভেম্বরে একটি ইন্টার্নশিপ করছিলাম, তখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি প্রশাসনে অংশ নিয়ে মানুষকে আরও ভালোভাবে সেবা করতে পারি। আমি যখন কলেজে ছিলাম, তখন আমার পৃথিবী বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু একবার আমি কাজ শুরু করলে, আমি বাস্তবতা বুঝতে পারতাম এবং আমি বুঝতে পারি যে আমি শুধু একজন ডাক্তার হওয়ার চেয়ে আরও কিছু করতে চাই। একজন ডাক্তার হিসেবে আমি শুধুমাত্র একজন রোগীর চিকিৎসা করতে পারি কিন্তু তার সমস্যাগুলো সামগ্রিকভাবে সমাধান করতে পারি না। অনেকগুলি সমস্যা রয়েছে যা অনেকগুলি স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে পারে, যেমন বিশুদ্ধ পানীয় জলের অ্যাক্সেস, সঠিক রাস্তা, ভাল খাবার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি। এই চাকরির মাধ্যমে আমি আরও ভালোভাবে মানুষের সেবা করতে পারব।’

Related Articles

Back to top button
error: