HighlightNewsদেশ

যোগীর নির্দেশে তৎপর প্রশাসন, ‘বেআইনি’ অভিযোগে ১৭ হাজার ধর্মীয় স্থান থেকে খুলে ফেলা হচ্ছে লাউডস্পিকার

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : বিতর্কের আবহেই উত্তরপ্রদেশে কড়ি পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। যোগীর কড়া নির্দেশে তৎপর প্রশাসন। ‘বেআইনি’ ভাবে লাগানো হয়েছে এই অভিযোগে সে রাজ্যের একাধিক ধর্মীয় স্থান থেকে সরানো হল লাউডস্পিকার। প্রায় ১৭ হাজার ধর্মীয় স্থান থেকে সরানো হচ্ছে লাউডস্পিকার। উত্তরপ্রদেশের মথুরায় শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি থেকে লাউডস্পিকার সরানো হয়েছে। গোরখনাথ মন্দির থেকেও লাউড স্পিকারের সংখ্যা কমানো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ২৯,৬৭৪ টি জায়গায় লাউডস্পিকারের শব্দের মাত্রাও কমানো হয়েছে। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে যেসব জায়গায় লাউডস্পিকারের আওয়াজ শব্দসীমা অতিক্রম করেছে সেই বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছে সরকার।

দিন পাঁচেক আগেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, ধর্মীয় স্থানে উপযুক্ত অনুমতি নিয়ে লাউডস্পিকার বাজানো উচিত। তা-ও আবার শব্দ যেন ধর্মীয় স্থানের বাইরে না আসে। তিনি আরও বলেছিলেন নতুন করে আর কোথাও লাউডস্পিকার বাজানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। সপ্তাহ না ঘুরতেই উত্তরপ্রদেশে নতুন ফতোয়া ধর্মীয় স্থান থেকে বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে নেওয়া হবে। আইন ও শৃঙ্খলার অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রশান্ত কুমার বলেন, “মানুষজন নিজেরাই লাউডস্পিকার সরাতে সহযোগিতা করছে এবং নিজেরাই সরিয়েও দিচ্ছে। এই অভিযান চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।” রাজ্যে যাতে সুষ্ঠুভাবে নমাজ পাঠ করা যায়, সে জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এডিজি। তিনি জানিয়েছেন, লাউডস্পিকার নিয়ে ৩৭ হাজার ৩৪৪ জন ধর্মীয় নেতার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

কয়েক দিন আগেই মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরে বলেছিলেন, আজানের সময় মসজিদের উপর থেকে সরিয়ে নিতে হবে সমস্ত লাউডস্পিকার, নাহলে জোর করে শোনানো হবে হনুমান চালিশা। এ নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি।

Related Articles

Back to top button
error: