HighlightNewsরাজ্যশিক্ষা ও স্বাস্থ্য

করোনা পরবর্তীতে বিদ্যালয়ে ফেরা পড়ুয়াদের কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: দীর্ঘ প্রায় দুই বছর যাবত করোনা মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে স্কুলে ফিরেছে পড়ুয়ারা। স্কুলে প্রত্যাবর্তন করা পড়ুয়াদের পর্যবেক্ষণ করে অনেক শিক্ষক জানাচ্ছেন, মহামারীর পরে স্কুলে প্রত্যাবর্তনকারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশের মধ্যে মানসিক এবং আচরণগত সমস্যা দেখা যাচ্ছে। সমবয়সীদের একটা অংশের মধ্যে অস্বাভাবিক ও অস্বস্তিমূলক ভাব দেখা দিয়েছে। স্কুলের এক প্রধান শিক্ষক বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে গত দুই বছর বাড়িতে থাকাকালীন পরিবারের বিভিন্ন সমস্যা এবং বৈবাহিক দ্বন্দ্ব পড়ুয়াদেরকে প্রভাবিত করেছে যা তাদের কর্মদক্ষতাকে কমিয়ে দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যম-সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের প্রতি আসক্তি পড়ুয়াদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। গত দুই বছরের অনলাইন ক্লাস শিশুদের স্কুলের স্বাভাবিক পরিবেশ থেকে অনেকটা পৃথক করে ফেলেছে।

স্বাভাবিক পরিবেশের সাথে শিক্ষার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্য ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে বহু স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পড়ুয়াদের পুনরায় আগের স্বাভাবিক পরিবেশ ও স্বাচ্ছন্দ্যে ফেরাতে কাউন্সেলিং-এর প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। পড়ুয়াদের ক্লাসের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করার জন্য অনেক স্কুল তাদের ক্লাস রুটিনে পরিবর্তন এনেছে। ক্যালকাটা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল তাদের ছাত্রদের জন্য একটি আলাদা সামাজিক ও মানসিক পাঠ্যক্রম শুরু করার কথা জানিয়েছে। লা মার্টিনিয়ার ফর গার্লস এ ব্যাপারে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ সেশন করেছে। এই শিক্ষকরা প্রশিক্ষণ শেষে কাউন্সিলর হিসেবে পড়ুয়াদের বিভিন্ন সমস্যা ও অবসাদ থেকে বের হয়ে আসতে সাহায্য করবেন। ক্যালকাটা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল ​​টিনা সারভাইয়া বলেন, স্ব-শরীরে ক্লাসে ফিরে আসার পর এমন ছাত্রদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে যাদের কাউন্সেলিং-এর প্রয়োজন রয়েছে, দুই বছর যার কোনো প্রয়োজন ছিল না। স্কুলকে পড়ুয়াদের গত দুই বছরে হওয়া ক্ষতি পূরণ করতে হবে। লা মার্টিনিয়ার ফর গার্লস-এ পৃথক একটি ক্লাস থাকবে যেখানে শিক্ষকরা পড়ুয়াদের সাথে আলাদা ভাবে কথা বলবেন। অধ্যক্ষ রূপকথা সরকার বলেন, প্রত্যেক শিক্ষক একজন পরামর্শদাতা বা কাউন্সিলর। একজন পরামর্শদাতার ভূমিকা অবশ্যই পাঠ্যবইয়ের বাইরে স্বাভাবিক পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ওপরেও হয়ে থাকে। করোনা মহামারীর পরে এখন আরও অনেক পড়ুয়ার কাউন্সেলিং প্রয়োজন। এর জন্য শিক্ষকদের আরও বেশি উদ্যোগী ও সজাগ হতে হবে৷ মনোবিজ্ঞানী ও কাউন্সিলর ফারিস্তা দস্তুর মুখার্জি বলেন, সামাজিকীকরণের একটা বড় অংশ স্কুলে ঘটে। স্কুলকেই পড়ুয়াদেরকে একে অপরের সাথে স্বাচ্ছন্দ্য করে তুলতে এবং স্বাভাবিক পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ভূমিকা নিতে হবে।

Related Articles

Back to top button
error: