HighlightNewsদেশ

বিভিন্ন রাজ্যের মানুষদের একে অপরের সাথে ইংরাজীতে নয় হিন্দিতে কথোপকথন করা উচিত, মন্তব্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ভিন রাজ্যের লোকেদের নিজেদের মধ্যে কথোপকথনের জন্য ইংরেজি ভাষা নয়, বরং হিন্দির ব্যবহার করা উচিত। সংসদীয় সরকারি ভাষা কমিটির ৩৭ তম বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন,”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সরকার পরিচালনার মাধ্যম হল সরকারি ভাষা এবং এটা অবশ্যই হিন্দির গুরুত্ব বাড়িয়ে দেবে। এখন সময় এসেছে সরকারি ভাষাকে দেশের ঐক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত করার। যখন রাজ্যের বাসিন্দারা যাঁরা একে অপরের সাথে কথোপকথনের জন্য অন্য ভাষার প্রয়োগ করেন, এটা অবশ্যই ভারতের ভাষা হওয়া উচিত।” তিনি নিজের মন্তব্যের সমর্থনে আরো বলেন, ইংরেজির পরিবর্তে হিন্দিকে বেছে নেওয়া উচিত, অন্য কোনও স্থানীয় ভাষাকে নয়। তিনি আরো পরামর্শ দিয়েছেন, স্থানীয় ভাষার থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী শব্দ হিন্দি ভাষায় শামিল করে নিয়ে হিন্দিকে আরও সহজতর করে তোলা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত ঝঝঅঞঞঞষঞষ সরকারি ভাষা কমিটির চেয়ারপার্সন এবং এর ভাইস চেয়ারপার্সন হলেন বিজেডির বি মেহতাব। ওই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেছেন, দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের হিন্দির প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া উচিত এবং একই সাথে তিনি হিন্দি শিক্ষার পরীক্ষার ওপরে আরো জোরে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ওই সভায় তিনি আরও জানিয়েছেন, ক্যাবিনেটের প্রায় ৭০ শতাংশ পরিকল্পনা এখন হিন্দিতে প্রস্তুত করা হয়। তিনি আরো বলেন, উত্তর-পূর্বের আটটি রাজ্যে ২২ হাজার হিন্দি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে এবং এই অঞ্চলের নটি উপজাতি সম্প্রদায় তাদের উপভাষার নীতিগুলিকে দেবনাগরীতে রূপান্তরিত করেছে। শুধু তাই নয়, ঐ সমস্ত রাজ্যগুলির স্কুলে দশম শ্রেণী পর্যন্ত হিন্দি ভাষাকে আবশ্যিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে কমিটির প্রতিবেদনের ১১তম খন্ড রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও হিন্দি ভাষার ওপরেই বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন অমিত শাহ। ২০১৯ সালে একটি বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি বলেন,”ভারত বিভিন্ন ভাষার দেশ। প্রতিটি ভাষার নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে, কিন্তু এটা একান্ত অপরিহার্য যে সমগ্র দেশের একটি ভাষাই বিশ্বে জাতির পরিচয় হয়ে ওঠে। যদি এমন কোন ভাষা থাকে যা গোটা দেশকে এক সুতোয় বেঁধে রাখতে পারে তা হল সর্বাধিক কথ্য ভাষা হিন্দি।”সেসময় তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছিল একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল। সিপিআইএম এহেন মন্তব্যকে ভারতের বৈচিত্রের মূল নীতির ওপর আক্রমণ বলে অভিহিত করে। কংগ্রেস নেতা রাজিব গৌড়া বিজেপিকে সেসময় স্মরণ করিয়ে দেন যে, সংবিধানের ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদ একাধিক ভাষাকে সম্মান জানিয়েছে।

Related Articles

Back to top button
error: