![](https://bangla.tdnworld.com/wp-content/uploads/2020/11/mullapally-Ramchandran-kk-shailaja-1.jpg)
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: যে সমস্ত মহিলাদের আত্মসম্মান বোধ আছে তারা ধর্ষিত হলে আত্মহত্যা করবেন বা আত্মহত্যার চেষ্টা করবেন যাতে তাদের আর ধর্ষিত হতে না হয়। তিরুবনন্তপুরমে আয়োজিত এক সভা থেকে রাজ্যের এলডিএফ সরকারের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন কেরলের কংগ্রেস সভাপতি মুল্লাপাল্লি রামচন্দ্রন।
সম্প্রতি সৌরশক্তি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত এক মহিলা তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগে করেন। ওই অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মুল্লাপাল্লি রামচন্দ্রন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে আক্রমণ করে বলেন, এ ধরনের মহিলার কথা কেউ বিশ্বাস করেনা। যদি পিনারাই বিজয়ন সরকার ভাবে যে একজন দুশ্চরিত্র মহিলাকে দিয়ে আমাদের নিশানা করবেন তাহলে তো সফল হবে না। রাজ্যের মানুষ এই অভিযোগ বিশ্বাস করবেনা। তিনি আরো বলেন, যদি কেউ বলে তাঁকে একবার ধর্ষণ করা হয়েছে মানা যায়, কিন্তু ওই মহিলা বলেছেন প্রত্যেক তাঁকে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণ হলে আত্মমর্যাদা সম্পন্ন মহিলার আত্মহত্যা করা উচিত বা চেষ্টা করা উচিত, যাতে আর এ ধরনের ঘটনা না হয়।
কেরলের কংগ্রেস সভাপতি মুল্লাপাল্লি রামচন্দ্রনের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন এলডিএফ সরকারের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী কে কে শৈলজা। তিনি বলেছেন, এ ধরনের মন্তব্য যৌনগন্ধি এবং অনুচিত। ধর্ষিতার আত্মমর্যাদাবোধ থাকলে আত্মহত্যা করার প্রচেষ্টা নিয়ে কেকে শৈলজার পাল্টা প্রশ্ন ধর্ষণ কি কোন মহিলার দোষ? যে মহিলারা ধর্ষণের পরে আত্মহত্যা করেন না তাদের কোনো মর্যাদা নেই? তিনি আরো বলেন, ধর্ষিতা অপরাধী নন। যারা ধর্ষণ করেছে, তারা অপরাধী, তাদের শাস্তি দিতে হবে। ধর্ষণের শিকার একজন মহিলা ভয়ঙ্কর শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করেন। এ ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন একজন মহিলাকে যিনি আত্মহত্যার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি মানসিকভাবে ভয়াবহ বলেও মন্তব্য করেন কেকে শৈলজা।
তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে শেষমেষ নিজের বক্তব্যের সাফাই গাইতে দেখা যায় কেরলের ওই কংগ্রেস সভাপতিকে। নিজের মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি পাল্টা দাবি করেন তার বক্তব্য নারীবিদ্বেষী ছিলনা। তা শুধুমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতাসীন এলডিএফ সরকারের অবনতির প্রসঙ্গ তুলে ধরা।