HighlightNewsরাজ্যশিক্ষা ও স্বাস্থ্য

ডব্লিউবিসিএস কোচিং সেন্টার ‘সিট্যাগ’এ সরকারী চাকরীপ্রাপ্ত সফল ছাত্রদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

নিজস্ব সংবাদ, টিডিএন বাংলা: আজ শনিবার ডব্লিউবিসিএস কোচিং সেন্টার ‘সিট্যাগ’ থেকে সরকারী চাকরীপ্রাপ্ত সফল ছাত্রদের জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করল কোচিং সেন্টারট। অনুষ্ঠানটি হয় রাজারহাট থানার অন্তর্গত গোপালপুর গ্রামে। এই কোচিং সেন্টারের ছাত্র আশিকুর রহমান ভূমি রাজস্ব কর্মকর্তা হিসাবে চাকরি পেয়েছেন। যুগ্ম বিডিও হিসেবে সিলেক্টেড হয়েছেন ইঞ্জমুল হক। ডব্লিউবিপি সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে সিলেক্টেড হয়েছেন মামুনুর রশিদ খান। এসএসসি সিজিএল এ গ্রুপ সি পদে সিলেক্টেড হয়েছেন মিনারুল ইসলাম। আজ এই ৪ জনকে সংবর্ধনা হিসেবে কিছু উপহার তুলে দেয় ডব্লিউবিসিএস কোচিং সেন্টার ‘সিট্যাগ’।

এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তব্য দেন মুজাফফর আলী সাহেব। তিনি চাকরীপ্রার্থীদের কোন পথে এগুলে সহজে সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে পারবে সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু উপদেশ এবং পরামর্শ দেন। অপর এক অতিথি শিশু সাহিত্যিক নুরুদ্দিন শাহ ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন , “যে উদ্দেশ্য আমি হাসিল করতে চাই সেটা নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে মহান রব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে করে যেতে হবে এবং বৃহৎ অস্তিত্বের সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করে চললে দুশ্চিন্তার মত বিষয় গ্রাস করতে পারবে না।” আশিকুর রহমান তার প্রস্তুতি পর্বের কথা স্মরন করে উল্লেখ করে বলেন, “আমার সাফল্যের ক্ষেত্রে বাবা মায়ের দুয়া, আল্লাহর উপর ভরসা এবং ধৈর্য্য ধরে রেগুলার পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ায় প্রকৃত সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে।” এছাড়া বাকি অন্যান্য সফল ছাত্রগণও তাদের সাফল্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।

এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব রমজান আলী (ডব্লিউবিসিএস, গ্রুপ এ অফিসার), মুজাফফর আলী (সমাজ কর্মী)। এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরাফাত শেখ (কমিশনার, সেন্ট্রাল এক্সাইজ), শামস জাভেদ (সহকারী কমিশনার, জিএসটি) প্রমুখ। সামগ্রিক অনুষ্ঠানটি পরিচালিত করেন ফারুক আহমেদ (কো-অর্ডিনেটর, সিট্যাগ, ডব্লিউবি) এবং ওয়াসিম আকরাম মন্ডল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি প্রকাশিত ডব্লিউবিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় ‘সিট্যাগ’ এর ১২ জন ছাত্র উত্তীর্ণ হয়েছেন। এই ‘সিট্যাগ’ সেন্টারটি প্রধানত মাইনরিটি ছাত্রদের জন্যে হিউম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন-এর তত্বাবধানে প্রতিষ্ঠা করা হয় ২০২২ সালে। সেন্টারের সিট ক্যাপাসিটি ২০ জন। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ফর্ম ছাড়া হয় এবং এন্ট্রান্স এক্সাম ও ইন্টারভিউ এর দ্বারা মার্চ মাসে নতুন ভর্তি নেওয়া হয়। তাছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে ঘোষনা করা হয়, ভবিষ্যতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এরূপ কম্পিটিটটিভ কোচিং সেন্টার খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

Related Articles

Back to top button
error: