HighlightNewsরাজ্যশিক্ষা ও স্বাস্থ্য

গরিবির সঙ্গে লড়াই করে আলিম পরীক্ষায় রাজ্যে অষ্টম প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষকের কন্যা রুকাইয়া সুলতানা

নিজস্ব সংবাদ, টিডিএন বাংলা: গতকাল সোমবার প্রকাশিত হয়েছে মাদ্রাসা বোর্ডের হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিলের পরীক্ষার ফলাফল। ফলাফল প্রকাশ হতেই আনন্দে মাতলো উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্ডালিয়া ষ্টেশন লাগোয়া শাসন থানার চক আমিনপুর গ্রামের একটি কৃষক পরিবার। আর তাদের সেই আনন্দে সামিল হল এলাকার মানুষেরা। কারণ মাদ্রাসা বোর্ডের আলিম পরীক্ষায় রাজ্যে অষ্টম স্থান অধিকার করেছেন ওই প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক পরিবারের এক কন্যা রুকাইয়া সুলতানা। তিনি আলিম পরীক্ষায় ৯০০ এর মধ্যে ৮০১ নম্বর পেয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। বরাবরই গরিবি ছিল রুকাইয়ার নিত্য সঙ্গি। কিন্তু ছোট বেলা থেকেই সেই গরিবির সঙ্গে লড়াই করেই আলিম পরীক্ষায় রাজ্যে অষ্টম অষ্টম স্থান অধিকার করেছে সে।

রুকাইয়া সুলতানা আমিনপুর কেএমসি সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্রী। ছোট বেলা থেকেই সে ছিল মেধাবি। দুই বোন, এক ভাই, পিতা-মাতা ও বৃদ্ধ দাদিমার এই সংসারে পিতা আশাদুর রহমান কোনো রকমে কৃষিকাজ করেই সংসার চালান। রুকাইয়া ভাই বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু শত কষ্টের মধ্যেও আশাদুর রহমান কখনই সন্তানদের পড়াশোনার খরচে কার্পন্য করেননি।

রুকাইয়া সুলতানা বলেন, “আমার পড়াশোনার ও এই সাফল্যের পিছনে বাবা ও মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। ছোট্ট থেকেই তারা আমার পড়াশোনার প্রতি খুবই কড়া নজর রাখতেন। চরম অর্থাভাবের মধ্যেও শত কষ্ট সহ্য করে আমাদের পড়াশোনা করিয়েছেন। এছাড়াও আমার মাদ্রাসার ও প্রাইভেটের শিক্ষকদের অবদান ছিল অনেক। তারা আমাকে বরাবরই উৎসাহ জুগিয়েছেন।” বড় হয়ে তিনি সমাজে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে শিক্ষিকা হতে চান বলে জানিয়েছেন। এই অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে আসছেন অনেকেই। সব মিলিয়ে তার এই সাফল্যে উচ্ছসিত রুকাইয়া সুলতানার পরিবার ও পারা প্রতিবেশী।

Related Articles

Back to top button
error: