টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ইউক্রেনের বুচা-সহ একাধিক শহরে গণহত্যার অভিযোগে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে বরখাস্ত হল রাশিয়া। বুচা-সহ একাধিক শহরে গণহত্যার অভিযোগে বৃহস্পতিবার আমেরিকার নেতৃত্বে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা হয় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে। শুক্রবার সেই প্রস্তাব নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভোটাভুটি হয়। কাউন্সিলের ১৯৩ জন সদস্য দেশের মধ্যে ৯৩টি দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আনা রাশিয়াকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাবের পক্ষে ও ২৪টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। তবে ভারত-সহ ৫৮টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। কিন্তু যেহেতু অধিকাংশ দেশই রাশিয়াকে বহিষ্কারের পক্ষে ভোট দিয়েছে তাই রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে রাশিয়াকে।
দিল্লি ভোট না দিয়ে কৌশলী পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ভারতের অবস্থান তুলে ধরে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বুধবার বলেছিলেন, ‘ভারত সর্বাগ্রে দৃঢ়ভাবে যে কোনও সংঘর্ষের বিরুদ্ধে। রক্তঝরিয়ে এবং নিরপরাধদের জীবনের বিনিময়ে কোনও সমাধান হয় না, এটা আমরা বিশ্বাস করি। আজকের দিনে আলোচনা এবং কূটনৈতিক পথই হল যে কোনও বিরোধের সঠিক উত্তর। তবে, ভারতের বিদেশনীতি ও পদক্ষেপে দেশের স্বার্থ বজায় থাকবে।’ রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইউক্রেন। তারা এই সিদ্ধান্তের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছে, “যুদ্ধাপরাধীদের রাষ্ট্রসংঘের কোনও সংস্থায় প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত নয়।”
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের বুচা গণহত্যার দৃশ্যে শিউরে উঠেছে বিশ্ব। একের পর এক গণকবরে উঠে আসছে যুদ্ধের ভয়াবহ ছবি। নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করলেও এই গণহত্যা রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে এতটাই কোণঠাসা করে দিয়েছে যে ভারতকেও কার্যত মস্কোর বিরোধিতাই করতে হয়েছে। অন্যদিকে ২০০৬ সালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার আওতায় মানবাধিকার কাউন্সিল গঠন করা হয়। রাশিয়া দ্বিতীয় দেশ যাদের এই মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে বরখাস্ত করা হল। এর আগে ২০১১ সালে উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।