চলে গেলেন স‍ুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : তাল কাটল স‍ুরের। চলে গেলেন ভারতের নাইট অ্যাঙ্গেল লতা মঙ্গেশকর। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। সকাল ৮টা ১২ মিনিটে প্রয়াত হন তিনি। কিছ‍ুদিন আগেই কোভিড আক্রান্ত হয়ে ম‍ুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শিল্পী। কিন্ত‍ু শেষ রক্ষা হল না। স্মৃতি ভারাক্রান্ত গোটা দেশের মান‍ুষ।

গতকাল ছিল সরস্বতী প‍ুজো। পঞ্চমী তিথি কাটতে না কাটতেই চলে গেলেন স‍ুরসম্রাজ্ঞী। করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়ে মৃত্য‍ু হয় তাঁর। ২৯দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে জন্ম। ১৯২৯-এ জন্ম লতা মঙ্গেশকরের। ৫ বছরে প্রথম সঙ্গীত জগতে আসা। বাবা পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকরের কাছে সংগীতে হাতেখড়ি। ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারান। তারপর থেকে সংগীতই তাঁর সঙ্গী। তখন থেকেই শুরু গান গাওয়া। ১৯৪৫-এ চলে এলেন মুম্বইয়ে। এর কিছুদিন পরেই গুলাম হায়দারের সঙ্গে দেখা হল তাঁর। পরে এক সাক্ষাৎকারে যাঁকে ‘গডফাদার’ হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন লতা। ১৯৪৮ সালের ছবি মজবুর-এ তিনি লতাকে দিয়ে গাওয়ালেন গান – দিল মেরা তোটা, মুঝে কহিঁ কা না ছোড়া। বাজিমাত হল সেই গানে। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি লতা মঙ্গেশকরকে।

৩৬টিরও বেশি ভাষায় গান গেয়েছিলেন
লতা। প্লে ব্যাকের পাশাপাশি সঙ্গীত পরিচালনাও করেছিলেন। গিনেস ব‍ুক অফ ওর্য়াল্ডে নাম ওঠে তাঁর। পেয়েছিলেন পদ্মবিভ‍ূষণ, পদ্মভ‍ূষণ, দাদা সাহেব ফালকে প‍ুরস্কার। ২০০১ সালে ভারতরত্ন পান এই কিংবদন্তী। নামেই তিনি ছিলেন লতা। অআসলে তিনি ছিলেন বটবৃক্ষ। যিনি এতোদিন ধরে ছায়া দিচ্ছিলেন স‍ুর, তাল, ছন্দকে। পেয়েছিলেন সারা জীবন সম্মান।

লতার প্রয়ানে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা। শোকে অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। ট‍ুইটে শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। ওঁর শ‍ূন্যতা কেউ প‍ূরণ করতে পারবেন না। ট‍ুইট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আজ বিকেল সাড়ে চারটেয় তাঁর অন্ত্যষ্টি। কে বলেছে তিনি নেই। ঈশ্বরের কোনও দিনও মৃত্য‍ু হয় না। যতদিন স‍ুর থাকবে পৃথিবীতে, ততদিন থেকে যাবে লতা মঙ্গেশকরের নাম।