টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ২০১৯ সালের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় এখনই স্বস্তি পাচ্ছেন না শারজিল ইমাম। শারজিলের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদনের ওপর ৭ জুলাই পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিল দিল্লি আদালত। আজ থেকে আদালতে ছুটি পড়ছে তাই ছুটির পরেই জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে দেশদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার হন শাহিন বাগ প্রতিবাদের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা তথা জেএনইউ-এর গবেষক শরজিল ইমাম। বিহারের জহানাবাদ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর দিল্লিতে এনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের সময় বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগে শরজিলের বিরুদ্ধে দেশের পাঁচ রাজ্যে দেশদ্রোহ-সহ একাধিক মামলা দায়ের হয়। শারজিলকে গ্রেফতার করার জন্য হন্যে হয়ে ঘোরে দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার পাঁচটি দল। মুম্বই, দিল্লির পাশাপাশি বিহারের জহানাবাদে তাঁর পৈতৃক ভিটেতেও হানা দেয় পুলিশ। জেরার জন্য তুলে আনা হয় তাঁর ছোট ভাইকেও। এরপরেই শারজিলের নাগাল পায় পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের অভিযোগ, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিবাদের সময় দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে বিভাজনমূলক মন্তব্য করেন শারজিল।
সোশ্যাল মিডিয়ার ওই ভিডিয়োর একটি অংশ ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ ওই ভিডিওতে শারজিলকে বলতে শোনা যায়,‘‘অসমকে ভারত থেকে আলাদা করে দিতে হবে। একটি সরু অংশের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারত এ দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে। লাখ পাঁচেক মুসলিম ঘাঁটি গেড়ে বসে পড়লেই, উত্তর-পূর্বকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া সম্ভব হবে। আর তা হলেই হুঁশ ফিরবে নরেন্দ্র মোদী সরকারের।’’ শারজিলের এই মন্তব্যকে সমর্থন জানায়নি ছাত্র সংগঠন আইসা এবং শাহিন বাগের আন্দোলনকারীরা।