টিডিএন বাংলা ডেস্ক: আজ শেষ দফার ভোট। মালদা, মুর্শিদাবাদ উত্তর কলকাতা, বীরভূমের বিভিন্ন জায়গা সকাল থেকেই উত্তপ্ত। কোথাও বোমা উদ্ধার হচ্ছে তো কোথাও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন সিপিএম কর্মীরা। বাদ যাচ্ছেন না বিজেপি কর্মীরাও। রাজনৈতিক সংঘর্ষের চাপানউতোরে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা। উদ্ধার হচ্ছে ফলা লাগানো তীর। কোথাও খোদ পুলিশের সঙ্গে বচসা জড়িয়ে পড়ছেন বিজেপি প্রার্থী।
ভোটের দিন সকালেই খয়রাশোলের কদমডাঙা জে বি স্কুলের কাছে বুথ সংলগ্ন জঙ্গল থেকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে বস্তাভর্তি সকেট বোমা। জানা গেছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অষ্টম দফার ভোটের দিন সকালেই ২০ টির বেশি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে সশস্ত্র বাহিনী। খবর দেওয়া হয়েছে বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডকে।
অপরদিকে, রণক্ষেত্রের আকার নিয়েছে বেলেঘাটা। রাজবল্লভ পাড়ায় তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে রক্তাক্ত ভোট অষ্টমীর সকাল। একে অপরকে লক্ষ্য করে বোতল ছোঁড়া, পাথর ছোঁড়া, বাঁশ, লাঠি হকিস্টিক নিয়ে সংঘর্ষে মেতে উঠলেন তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীরা। এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুপক্ষের বেশ কয়েকজন। জানা গেছে, দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। এই সংঘর্ষের খবর পেয়ে এবং ভোটদানে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপি প্রার্থী কাশীনাথ বিশ্বাস। অভিযোগ ঘটনাস্থলে বিজেপি প্রার্থীর আগমনের পর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপি প্রার্থীকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় পাথর। এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। বেশ কিছুক্ষণের প্রয়াসে ওই জমায়েত হতে সক্ষম হয় পুলিশ।
অন্যদিকে, ডোমকলের আলীনগরের ২০১ ও ২০৪ নম্বর বুথে তৃণমূল ও সিপিএম কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ঘটনাস্থল থেকে লোহার ফলা লাগানো পাঁচটি তির উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
চৌরঙ্গী বিধানসভার রানী রাসমণি হাই স্কুলের সামনে পুলিশের সঙ্গে বচসা জড়িয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী দেবদত্ত মাঝি। তিনি অভিযোগ করেছেন পুলিশের উপস্থিতিতেই স্থানীয় তৃণমূল নেতারা ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। তবে এই ঘটনায় তৃণমূলের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
উত্তর কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ছড়িয়ে থাকলেও এরই মাঝে ভোট প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী সকাল ১১টা পর্যন্ত মোট ভোটদানের হার ৩৭.৮ শতাংশ। মালদায় এখনো পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪১.৫৮ শতাংশ। মুর্শিদাবাদে ৪১.০৪ শতাংশ, উত্তর কলকাতায় ২৭.৬০ শতাংশ এবং বীরভূমে ৩৮.১১ শতাংশ ভোট পড়েছে।