HighlightNewsদেশ

ফের হিজাব পরায় কর্ণাটকের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা পড়ুয়াদের, সাফ কথা মানতে হবে নির্দেশ

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ফের কর্ণাটকে হিজাব পড়ে থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল পড়ুয়াদের। এর আগে পরীক্ষার হলেও ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। যার ফলে পরীক্ষায় বসতে পারেননি বহু মুসলিম ছাত্রী। যদিও তাতে সেরাজ্যের বিজেপি শাসিত সরকারের কোনও হেলদোল নেই। ছাত্রীদের তরফ থেকে একাধিক অনুনয় করা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ একেবারে অটল। সেই নির্দেশের কঠোরতার প্রমান ফের একবার নতুন করে উঠে এল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করে হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যাওয়ায় ফিরিয়ে দেওয়া হল বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে। ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই আসরে নেমেছে সংখ্যালঘু সংঠনগুলি।এই বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যতই শোরগোল হোক মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ এবং সরকারি নিয়ম সবাইকে মানতে হবে। তাই বিতর্কে না জড়িয়ে পড়াশোনায় মন দেওয়া উচিত পড়ুয়াদের।
জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশ এবং সরকারি নিয়ম মেনে দিন দুই আগেই ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হলে সকলকে পোশাকবিধি মানতেই হবে। অর্থাৎ হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া যাবে না। সেই নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই শনিবার বেশ কয়েকজন পড়ুয়া হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেলে তাঁদের ঢুকতে বাধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পড়ুয়ারা। অভিযোগ , পোশাকবিধির আড়ালে মুসলিম মেয়েদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাফ মন্তব্য, তাঁদের নয়া নির্দেশিকায় মুসলিম পড়ুয়াদের শিক্ষালাভে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। খোদ কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইও এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “নতুন করে হিজাব নিয়ে বিতর্ক তৈরির কোনও মানে হয় না। আদালত একটা নির্দেশ দিয়েছে। সেটা সকলকে মানতে হবে। আমি বলব পড়ুয়াদের উচিত লেখাপড়ায় মনোযোগ দেওয়া।“
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে কর্ণাটক হাইকোর্ট হিজাব নিষিদ্ধকরণের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া আবেদনকারীদের পিটিশন খারিজ করে জানিয়েছিল “হিজাব পরা ইসলামের একটি অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়।“ এরপর ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি। শীর্ষ আদালতও কর্ণাটক সরকারের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দেয়নি। উল্লেখ্য, একটি পরিসংখ্যান অনুসারে চলতি বছরের ১৫ মার্চ কর্ণাটক হাইকোর্টের ওই রায়ের পর শুধুমাত্র কর্ণাটকের উদুপি থেকে প্রায় ৪০ জনেরও বেশি মুসলিম ছাত্রী প্রথম প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন নি।

Related Articles

Back to top button
error: