HighlightNewsদেশ

“আত্মনির্ভর ভারতের সূচনা কবি গুরুর কাছ থেকেই, ভারতের পরম্পরা রাষ্ট্রবাদ প্রচার করেছে বিশ্বভারতী”; বিশ্ব বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে এমনটাই জানালেন আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: “আত্মনির্ভর ভারতের সূচনা কবি গুরুর কাছ থেকেই, ভারতের পরম্পরা রাষ্ট্রবাদ প্রচার করেছে বিশ্বভারতীভারতমাতা ও বিশ্বের মেলবন্ধন এই বিশ্বভারতী। আত্মনির্ভর ভারতের সূচনা কবিগুরুর কাছ থেকে।” বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একশো বছর পূর্তি উপলক্ষে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগদান করে এমনটাই জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তিনি বলেন,”স্বাধীনতা আন্দোলন, নব ভারতের নির্মাণে বিশ্বভারতীর অবদান রয়েছে, বিশ্বভারতী মানেই গুরুদেবের চিন্তন, কবিগুরুর বিশ্বভারতী দর্শনের স্বার্থক রূপ।কবিগুরুর এই প্রতিষ্ঠান দেশকে শক্তি জুগিয়েছে। স্বাধীনতা আন্দোলনেও বিশ্বভারতীর অবদান রয়েছে। নব ভারতের নির্মাণে বিশ্বভারতী কাজ করে গিয়েছে।” শতবর্ষ উপলক্ষে তিনি আরো বলেন,”গৌরব দাও, বিশ্বভারতীর শতবর্ষে এটাই দেশের প্রার্থনা। দেশের পক্ষে বিশ্বভারতীর শতবর্ষ গৌরবের বিষয়।”

বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদী বলেন,”বিশ্বভারতী ভারতের শিক্ষাব্যবস্থাকে নতুন চেহারা দিয়েছে। জ্ঞানের এই আন্দোলনে উৎসাহ দিয়েছে বিশ্বভারতী।” শুধু তাই নয়, এদিন কবিগুরুর প্রকৃতির সঙ্গে মিলে জীবনচর্যা অধ্যায়নের উদাহরণ হিসেবে বিশ্বভারতীকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্যারিস চুক্তির উল্লেখ করেন। তিনি বলেন,”ভারতই একমাত্র বড় দেশ, যে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুসরণ করছে।”

বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উপলক্ষে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমাজ সংস্কারের সংকল্পকে স্মরণ করিয়ে আচার্য নরেন্দ্র মোদি বলেন,”গুরুদেব আমাদের স্বদেশ সমাজের সঙ্কল্প দিয়েছিলেন। উনি আমাদের গ্রাম-কৃষি-বাণিজ্যকে আত্মনির্ভর দেখতে চেয়েছিলেন। ভারতকে মজবুত-আত্মনির্ভর তৈরি করতে গেলে সবাইকে প্রয়োজন।”এ প্রসঙ্গে পৌষ মেলার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এবছর পৌষ মেলা বিশ্বভারতীতে হয়নি। পৌষ মেলা সরকারের ভোকাল ফর লোকাল স্লোগানের আক্ষরিক রূপ।পৌষ মেলায় যাঁরা আসতে পারেননি, সেই শিল্পীদের নিয়ে উদ্যোগ নিন। এঁদের তৈরি পণ্য যাতে অনলাইনে বিক্রি করা যায়, তা দেখুন।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন,”সংস্কৃতি-সাহিত্যে ভরপুর এই বাংলা। পড়াশোনার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ, দুই ভাবধারার জন্ম বিশ্বভারতীতে।”তিনি আরো যোগ করেন,”দেশে যেন ভয়ের পরিবেশ না থাকে, জ্ঞান যেন মুক্ত হয়। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে মুক্ত জ্ঞানের কথা।”

এদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বিখ্যাত ছোটগল্প ক্ষুধিত পাষাণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কবিগুরুর সাথে গুজরাটের গভীর যুগের কথা স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরিশেষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই অসাধারণ গানের লাইন, “একলা চলো রে” মন্ত্রে বিশ্বাস করার বার্তা দেন বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদি।

 

 

 

Related Articles

Back to top button
error: