HighlightNewsদেশ

“কৃষি আইন ফেরত নিতেই হবে,…ভারতে গণতন্ত্র শুধুমাত্র কল্পনায় থাকতে পারে”; রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জানালেন রাহুল গান্ধী

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: আজ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে অধীর চৌধুরী এবং গুলাম নবি আজাদ দু’কোটি স্বাক্ষর সহ পত্র জমা দেন। এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে বলেন, কৃষকরা কিছুতেই হঠবেন না, প্রধানমন্ত্রী ভাবেন না যে, কৃষক-শ্রমিকরা ঘরে ফিরে যাবেন।

রাহুল গান্ধী বলেন,”আমরা তিনজন রাষ্ট্রপতির কাছে কোটি কোটি স্বাক্ষর নিয়ে গিয়েছিলাম। এটাই দেশের কণ্ঠস্বর।শীতের সময়, কৃষকরা আন্দোলন করছেন এবং মরে যাচ্ছেন। আজ আমি অগ্রিম বলে রাখছি, কোন শক্তি কৃষক ও শ্রমিকের সামনে রুখে দাঁড়াতে পারে না। আইন যদি প্রত্যাহার না করা হয় তবে কেবল আরএসএস এবং বিজেপির নয়, দেশেরও ক্ষতি হতে চলেছে।”

তিনি আরো বলেন,”নরেন্দ্র মোদির একটাই লক্ষ্য দু চারজন বড় পুঁজিপতিদের জন্য অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেওয়া। যারা মোদীজীর বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ান তাদের সম্বন্ধে কিছু না কিছু বলতে থাকেন। কৃষকদের আতঙ্কবাদী বলছে, কাল মোহন ভাগবত যদি তার বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ান তাহলে তাকেও আতঙ্কবাদী বলে দেওয়া হবে।”

এদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাহুল গান্ধী জানান, এই কৃষি আইন কৃষক বিরোধী, এই আইনের ফলে কৃষক এবং শ্রমিকদের ক্ষতি হবে। তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ দেখতে পাচ্ছেন যে কৃষকরা এই আইনের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।প্রধানমন্ত্রীর এটা ভাবা উচিত নয় যে কৃষকরা ফিরে যাবেন, তারা যাবেন না। প্রধানমন্ত্রীর উচিত যৌথ অধিবেশন ডেকে আইন প্রত্যাহার করা। এই আইন প্রত্যাহার করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বোঝা উচিত যে প্রত্যেকটি জিনিসের একটি সীমা হয়। আমি আবারো বলছি, যেভাবে নরেন্দ্র মোদী আচরণ করছেন তাতে ভারতের কোন যুবকেরাই রোজগার পাবেন না, সমস্ত মিডিল ক্লাস রোজগার শেষ হয়ে যাবে। ভারতে কোন গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র শুধুমাত্র কল্পনায় থাকতে পারে, বাস্তবে গণতন্ত্র নেই।”

 

Related Articles

Back to top button
error: