টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ ভারতীয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অরুণ সিংহ মানবাধিকার কমিশনের ২৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কাশ্মীর প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রশংসায় করেন। যেভাবে তিনি অমিত শাহের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন তার সমালোচনা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। তিনি অমিত শাহকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘আপনার জন্যই জম্মু-কাশ্মীরে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।’’ তিনি ঠিক কোন ‘নতুন অধ্যায়ের’ কথা বললেন তা বুঝতে অশুবিধা হওয়ার কথা নয়। স্পষ্টতই তাঁর ইঙ্গিত ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার এবং জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে পৃথক দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের দিকে। বিচারপতি মিশ্রের মতে, শাহের চেষ্টায় শুধু যে জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ফিরেছে তা-ই নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতেও ‘নতুন যুগ’ শুরু হয়েছে। যদিও বাস্তবতা অন্য কথা বলে। প্রকৃতপক্ষে কাশ্মীরে প্রতিনিয়ত উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। গুপ্তহত্যা, জঙ্গি ও সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ, কাশ্মীরের জনতার বিক্ষোভ নিত্য দিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ, জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা ইত্যাদির বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। কাশ্মীরের প্রায় সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দল একজোট হয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে। ফলে অরুণ সিংহ কোন নতুন অধ্যায়ের কথা বলছেন, কোন শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসার কথা বলছেন সেই প্রশ্ন উঠছে।
এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘কেউ কেউ কিছু ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখেন, কিন্তু অন্যান্য ঘটনায় দেখেন না। রাজনীতির চশমা পরে থাকলেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়। কেউ কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘনের নামে দেশের ভাবমূর্তির ক্ষতি করতে চায়। রাজনৈতিক স্বার্থের চোখ দিয়ে মানবাধিকারকে দেখা হলে তা মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র, দুইয়ের পক্ষেই ক্ষতিকর।’’ এই প্রসঙ্গে কমিশন প্রধান তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন,‘‘আন্তর্জাতিক শক্তির অঙ্গুলিহেলনে ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলাটা একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।”